দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় আমমপানে রাজ্যের ক্ষতির পর্যালোচনা করতে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। সেই দলের সামনে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির হিসেব তুলে ধরতে চলেছে নবান্না। শনিবার ওই দল নবান্নে আসার কথা। বৈঠক হবে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে। সেই বৈঠকেই এই ক্ষতির হিসেব তুলে ধরা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্য সেখানে আরও জানাবে যে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাড়ি ভেঙে পড়ার জন্য। উমফানের তাণ্ডবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২১ লাখ বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানানো হবে কেন্দ্রীয় দলকে।
ঘূর্ণিঝড় উমফান রাজ্যে আছড়ে পড়ার আগে থেকেই রাজ্যের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঝড়ের পরের দিনই ফোন করে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ২২ মে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে উমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উমফান কবলিত এলাকা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করার পরে বসিরহাট কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা অগ্রিম ত্রাণের ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গেই জানান, ক্ষতির পরিমাপ করতে রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় দল। এর পরে পরবর্তী ক্ষেত্রে ক্ষতি মোকাবিলায় কেন্দ্র টাকা দেবে।
সেই কথা মতো ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসে দুই ২৪ পরগনা ঘুরে দেখেন। শুক্রবার উত্তর ঘূর্ণিঝড় উমফান বিধ্বস্ত এলাকার কোথাও সড়কপথে, কোথাও আবার জলপথে পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় কেন্দ্রীয় দলের চার সদস্য ঋষিকা সরণ, নরেন্দ্র কুমার, আর কে দুবে, ও সমীরণ সাহা সন্দেশখালি এক, সন্দেশখালি দুই ও ন্যাজারহাট এলাকা পরিদর্শন করেন। তার আগে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ধামাখালিতে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কংকরপ্রসাদ বাড়ুই, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতরা। ঘূর্ণিঝড়ে কোন কোন এলাকার কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কোথায় কোথায় নদীবাঁধ ভেঙেছে, সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় যান তিন জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি অনুজ শর্মা। তাঁরা প্রথমে পাথরপ্রতিমা মহাবিদ্যালয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এখানেই জেলাশাসক পি উল্গানাথন তাঁদের কাছে জেলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরেন। পরে তাঁরা গাড়িতে করে উত্তর গোপালনগরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।