দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃগাড়ির নীচ থেকে কোনওমতে মাথাটা বেরিয়ে রয়েছে। গলাটা পা দিয়ে চেপে বসে রয়েছেন নীল পোশাকের পুলিস। আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের সেই ছবি এতদিনে ভাইরাল। মৃত্যু হয়েছে সেই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। তার পরেই বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে গোটা আমেরিকায়। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় ট্রাম্প প্রশাসনকে। এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এল। তাতে স্পষ্ট, গলা টেপার কারণেই মারা গেছেন ৪৬ বছরের জর্জ ফ্লয়েড।
সোমবার প্রকাশিত হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, ‘খুন’। মিনিয়াপোলিসের হেনেপিন কাউন্টির একজামিনারের কথায়, গলায় চাপ, বাধার কারণে কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্ট অর্থাৎ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেছে। ফ্লয়েদের অন্যান্য শারীরিক অবস্থার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। হাইপারটেনসিভ হার্ট ডিজিজ ছিল তাঁর। ব্যথার ওষুধ ফেন্টানিল খেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি স্নায়ু উত্তেজক মেটামফেটামাইন খেয়েছিলেন। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তকারী স্বাধীন এবং নিরপক্ষে দফতরের অধীনে। কোনও ধরনের আইনি দফতরের অধীনে তিনি কাজ করেননি।
গত সোমবার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হেপাজতে মারা যান আফ্রো–আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। এক পথচারীর রেকর্ড করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় জর্জের গলায় টানা আট মিনিট হাঁটু চেপে বসে আছেন এক শ্বেতাঙ্গ অফিসার। জর্জকে বারবার অফিসারকে অনুরোধ করতে শোনা যায় যে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। কিন্তু জর্জ নেতিয়ে না পড়া পর্যন্ত হাঁটু ওঠাননি অফিসার।
ওই ভিডিও ফুটেজ আপলোড হতেই তা ভাইরাল হয়। তারপরই আমেরিকায় ফের শ্বেঙ্গদের বিরুদ্ধে বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগে পথে নামেন লক্ষ মানুষ। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই অভিযুক্ত পুলিশ ডেরেক এবং তাঁর তিন সহকর্মীকে বরখাস্ত করেছিল মিনিয়াপোলিস পুলিশ। তাতেও বিক্ষোভ দমেনি।