দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সবে গিয়েছে আমফান। এখনও বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অনেকেই রয়েছেন রাজ্যের ত্রাণ শিবিরে। করোনার মাঝেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে এখনও ত্রস্ত গোটা বাংলা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহওয়া দফতর। সেইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহের শেষে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তাহ শেষে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী৷
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী হতে পারে৷ দক্ষিণী হাওয়ার সঙ্গেই সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে৷ বুধবার থেকেই তাই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা৷ এছাড়া উত্তরবঙ্গ ও সিকিমেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে৷
তবে রাজ্যে যখন ঝড়–বৃষ্টির পূর্বাভাস তখন উত্তর ভারতে আবার পঙ্গপালের আক্রমণের মাঝেই রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। দিল্লিতে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
দিল্লি মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী, আগামী ২৬ মে তাপপ্রবাহ শীর্ষে পৌঁছনোর সম্ভাবনা হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের কিছু এলাকায়। ইতিমধ্যে সফদরজংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। এ ছাড়া পালাম, লোধি নগর ও আইয়া নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬.২ ডিগ্রি, ৪৪ ডিগ্রি ও ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল ছিল। সোমবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ও শনিবার দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ধুলোর ঝড় ও বজ্রপাত–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে, রাজস্থানের চুড়ুতে তাপমাত্রা ৪৭.৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সর্বোচ্চ ৪৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।