দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:শব্দের চেয়ে তিন গুণ বেশি গতিসম্পন্ন জাহাজধ্বংসকারী চীনা মিসাইল পাচ্ছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। সিএম–৩০২ নামের ওই মিসাইল ছাড়া পাক নৌসেনার জন্য আরও চারটি চীনা অস্ত্র তৈরি হচ্ছে সাংঘাইয়ের হুডং–ঝংহুয়া জাহাজঘাঁটিতে। লক্ষ্য ধ্বংস করার ভারতের ব্রাহ্মস অ্যান্টি–শিপ ক্রুজ মিসাইলের ক্ষমতা এবং সুপারসোনিক গতি সম্পন্ন সিএম–৩০২ মিসাইল হাতে পেলে পাক নৌবাহিনী অনেকটাই ক্ষমতাশালী হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। পুরো প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ অফিসাররা। তবে যেহেতু পাক নৌসেনার দূরের লক্ষ্যভেদকারী সেন্সর নেই তাই ওই চীনা মিসাইল হাতে পেলেও তা তৎক্ষণাৎ ভারতের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে যাবে না, মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আয়তনে ভারতের সমান রেডার তৈরি করেছে চীন। অ্যাডভান্সড কম্প্যাক্ট সাইজ রেডারটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম। এই রেডারের সাহায্যে তাদের সব কটি সমুদ্রের উপর সম্পূর্ণভাবে নজরদারি চালাতে পারবে চীনের নৌবাহিনী। বিদেশি জাহাজ, বিমান এবং মিসাইলের গতিপ্রকৃতির ব্যাপারেও অনেক দ্রুত খবর পাঠাবে এই ওভার দ্য হরাইজন বা ওটিএইচ রেডার। চীনের সাগরে তাদের নৌসেনার টহলদারি জাহাজের উপর রাখা থাকবে ওটিএইচ রেডার। রেডারের এই উন্নতমানের প্রযুক্তির জন্য লিউ ইওংট্যান এবং কিয়ান কিহু নামে দুই তরুণ বিজ্ঞানীকে এজন্য সংবর্ধনা এবং অর্থ পুরস্কারও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যদিও এই সিএম-৩০২ কে পুরো মাত্রায় ব্যবহার করার মতো দূরপাল্লার র্যাডার এবং সেন্সর নেই পাকিস্তানের হাতে। সে কারণে শত্রু জাহাজকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকলেও তাকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা নেই পাকিস্তানি নৌসেনার। তাই এই মুহূর্তে বিরাট শঙ্কার কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০২১ থেকে এই নয়া অস্ত্র হাতে পাবে পাক নৌসেনা। সে বিষয় মাথায় রেখে ভারতেরও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তার সঙ্গে বিভিন্ন দিক দিয়েই তুলনীয় এই সিএম-৩০২। ভারতের কাছে এই পাকিস্তানি ক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্বেগের। কারণ এখন থেকে পাকিস্তানি নৌসেনাকে মোকাবিলা করার কৌশল নতুন করে ঠিক করতে হবে ভারতকে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতও, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।