দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে করোনা সংক্রমণ কমলেও কিছু কিছু রাজ্যে তা এখনও বড় আশঙ্কার চেহারাতেই রয়েছে। বাড়ছে আক্রান্ত, বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে ৩ মের পরেও সেখানে লকডাউন জারি রাখা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেয় তার দিকে তাকিয়ে দেশ। এরই মধ্যে সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সেখানেই হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই ১১ এপ্রিল দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই অবশ্য বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকের পরেই ১৪ এপ্রিল নতুন করে ১৯ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবারেও কেন্দ্র লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে কিছু জানানোর আগেই বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে চাইছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ওড়িশা ইতিমধ্যেই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে। দিল্লিতে ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। বাকি রাজ্যগুলিও ৩ মের পরে লকডাউন চালিয়ে যেতে চায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ভাবে এখনও কিছু না জানালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪ মে থেকে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হোক লকডাউন। একবারে পুরোপুরি লকডাউন উঠে যাক এমনটা তিনিও বলেননি।
গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক জানিয়েছে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মতোই তারা চলবে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সময়ে মোদী বলেছিলেন, সব রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে চাইছে এবং অনেকে নিজের থেকেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ায় কেন্দ্রও তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। এবারও বিভিন্ন রাজ্যের পক্ষে একই রকম দাবি উঠেছে। তাই প্রশ্ন, এবারও কি লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ মেনে নেবেন প্রধানমন্ত্রী? নাকি, বেশি সংক্রমিত এলাকা বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় লকডাউন তুলে নেওয়া হবে? উত্তর মিলতে পারে সোমবারের বৈঠকের পরে।