দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা আক্রান্তরা কোন এলাকার তা বিশ্লেষণ করে ৭টি জায়গাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে যে হটস্পট এলাকাগুলির নির্দিষ্ট করে নাম বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সব বলা কি ঠিক? তাতে আতঙ্ক ছড়াতে পারে।” তবে ওই এলাকাগুলিতে যে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে তা উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৬৯ জনের শরীরে সংক্রমণ অ্যাকটিভ রয়েছে। আট জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে নতুন করে। মৃত্যু বেড়ে হয়েছে তিন থেকে পাঁচ। আক্রান্ত ৬৯ জনের মধ্যে ৬০ জনই ন’টি পরিবারের বলে জানান তিনি।
গতকাল মমতা জানিয়েছিলেন, যাঁরা এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনকে ইতিমধ্যে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আজ আর নতুন করে কারও বাড়ি যাওয়ার কথা জানাননি তিনি।
শবে বরাত ও পয়লা বৈশাখ বাড়িতে থেকেই পালন করার আবেদন জানান মমতা। তিনি বলেন, “উৎসব আসবে যাবে। কিন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে শবে বরাত ও পয়লা বৈশাখে ঘরে থাকুন। ঘরে থেকেই প্রার্থনা করুন।”
তামিলনাড়ুতে কাজ করতে যাওয়া বাংলার ৪৯ জন শ্রমিকের খোঁজ মিলছিল না কয়েকদিন ধরে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের খোঁজ পাওয়া গেছে। রাস্তা ভুল করে তাঁরা একটি জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিলেন। ওখানে একটি আশ্রয় শিবিরে তাঁরা রয়েছেন। প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। তারমধ্যে অন্যতম বাজারে ঢোকা-বেরোনোর সময়ে হাত স্যানিটাইজ করা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অভিজিৎবাবুর পরামর্শ কার্যকর করতে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেবে।