দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে রবিবার রাত ন’টা ন’মিনিট ধরে প্রদীপ, বাতি প্রভৃতি জ্বালানোর আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে আশার আলো জ্বলেছে উওর২৪পরগনার দত্তপুকুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন কুমোরপাড়াগুলিতে। অকাল দীপাবলির আশায় তাঁরা এখন মগ্ন প্রদীপ তৈরিতে।
দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে ও করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে বাড়ির সব বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বারান্দায় মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা নিদেনপক্ষে মোবাইল ফোনের আলো জ্বালাতে অনুরোধ করেছেন। এই ঘোষণার পরে উত্তর২৪পরগনার দত্তপুকুর সহ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক হলদিয়া, কাঁথি প্রভৃতি জায়গায় বাড়ি বাড়ি চলছে প্রদীপ তৈরি। কুমোরপাড়াগুলিও এখন ব্যস্ত প্রদীপ তৈরিতে। তাঁরা জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই অনেকে প্রদীপের বায়না করে গেছেন। অনেকে দাম জিজ্ঞাসা করে গেছেন। তবে একদিনে অত প্রদীপ তৈরি সম্ভব নয়। তাঁরা চাইছেন যতটা পারেন জোগান দিতে যাতে এই সময়ে কিছুটা আয় হয়।দত্ত পুকুর এলাকায় প্রায় সারা বছর ধরেই দীপাবলির জন্য প্রদীপ তৈরী করেন এখানকার কুমোরেরা৷তাই এখানে আগের কিছু তৈরী প্রদীপ ছিল যা এখন একটু বেশি লাভে বিক্রি হচ্ছে বলে জানাগেছে৷বারাসাত, হাবড়া, বনগাঁর বিভিন্ন মুদিখানার দোকান থেকেও মানুষজন যথাসম্ভব মোমবাতি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো দেশের মানুষ বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালালে মনের শক্তি বাড়বে বলে মনে করছেন উত্তর ২৪পরগনা জেলার বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল। যদিও তৃণমূলের জেলার নেতা গোপাল শেঠ বলেন, “করোনা মোকাবিলায় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে সব মানুষ লড়াই করছে। এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রীর কথায় যাঁদের মন চাইবে তাঁরা এই নিয়ম পালন করবেন। একথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই রাজ্যবাসীকে জানিয়েছেন।”
জনতা কার্ফুর মতো প্রধানমন্ত্রীর এই ডাকও সফল হবে কিনা সেকথা সময়ই বলবে তবে লকডাউনের মধ্যেও আপাতত কিছুটা আয়ের আশা করছেন কুমোর পাড়ার পটুয়ারা।
ফাইল চিত্র৷