প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা করে দান করলেন মমতা

0
1365

মঙ্গলবার লালবাজার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী

দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট দশ লক্ষ টাকা দান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই দান তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সামর্থ্য সীমিত। তার মধ্যে থেকেই দেশ ও রাজ্যের সরকারকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য এই অনুদান দিয়েছি।

মুখ্যমন্ত্রী ওই টুইট বার্তায় আরও বলেছেন, “আমি বিধায়ক হিসাবে কোনও বেতন নিই না। লোকসভায় সাত বারের জন্য সাংসদ ছিলাম। কিন্তু সেই বাবদ যে পেনশন পাওয়ার কথা তাও আমি নিই না। মুখ্যত আমার আয়ের উৎস হল গান ও আমার লেখা বই বিক্রি থেকে পাওয়া রয়্যালটি।”


ব্যক্তিগত রোজগার থেকে অনেকেই এই সংকটের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তাঁদের বেতনের একটা অংশ আগামী মাসে নেবেন না। যেমন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, তাঁর বেতনের মাত্র তিরিশ শতাংশ নেবেন তিনি।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কোনও বেতনই নেন না। ফলে পে কাটের কোনও প্রশ্ন নেই। ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকেই অনুদান দিয়েছেন তিনি।

সরকারের এক শীর্ষ আমলার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিহত আয় থেকে অনুদান দিলে তা অনেককে অনুপ্রাণিত করে। এখানে কে কত টাকা দান করতে পারছেন তা বড় কথা নয়। যাঁর যা সামর্থ্য সেই অনুযায়ী দেবেন। কিন্তু আগ্রহ ও উৎসাহটাই বড় কথা। কারণ মনে রাখতে হবে সরকারের সামর্থ্যও সীমিত। একটা সীমার বাইরে করা মুশকিল।

সেই অবস্থায় সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিজের নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করলে সংকট মোকাবিলায় সুবিধা হয়। প্রান্তিক মানুষ ও গরিব শ্রেণির সুরক্ষায় আরও দু’কদম তখন ফেলতে পারে সরকার। তা ছাড়া যাঁরা দান করছেন, সংকট মোকাবিলায় তাঁদেরও একটা অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। তখন এই লড়াই আর শুধু সরকারের থাকে না। সমষ্টির লড়াইয়ে পরিণত হয়।

Previous articleবিপদ এড়াতে আগুন থেকে দূরে রাখুন স্যানিটাইজার
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে ২৫ হাজার টাকা দিলেন মোদীর মা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here