দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের তিনটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার গড়ায় নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে পড়েছেন রাজ্য কংগ্রেস তথা বনগাঁ শহর কংগ্রেসের নেতা, কর্মীরা। সোমবার বাটার মোড়ে বনগাঁ শহর কংগ্রেস আয়োজিত পথসভায় তারই ইঙ্গিত মিলল। এদিনের পথসভায় বক্তব্য রাখেন বনগাঁ শহর কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দ্র। এছাড়াও মহিবুল সিদ্দিকী, বিকাশ গোর, দেবব্রত চৌধুরী, নিলাক্ষ সাহা, সুরজিৎ গাঙ্গুলী প্রমুখ কংগ্রেস নেতারাও বক্তব্য পেশ করেন। দিন কয়েক আগেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্রিশগড় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়। তাতে এই তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে জাতীয় কংগ্রেস। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ১৫ বছরের বিজেপির শাসনের পতন ঘটিয়ে এবারে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। রাজস্থানও পুনর্দখল করে তারা। হিন্দি বলয়ের শক্তিশালী এই তিন রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসায় নতুন করে উদীপ্ত হয়ে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। তাই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে বিরোধী শক্তি হিসেবে একজোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চাইছে কংগ্রেস। বানগাঁয় এদিনের পথসভা থেকে বক্তাদের বক্তব্যে এমন ধরনের বেশ কিছু মন্তব্য উঠে এলো। বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন কংগ্রেস নেতারা বলেন, বিজেপি সরকার যেভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে তাতে দু টাকা কিলো চাল রান্না করতে হাজার টাকার গ্যাস পোড়াতে হচ্ছে। কৃষি ঋণ মুকুব এর বদলে মোদি সরকার দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সুযোগ পাইয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি জিতে আসা তিন রাজ্যে কংগ্রেস কৃষি ঋণ মকুব করে নজির গড়েছে। বিজেপির পাশাপাশি রাজ্য তৃণমূল কেও একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি এই রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীরা নিজের নামে চালাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে। এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকাও ঠিক নয়। তারাও পুতুলের মতন নাচছে। এদিন কংগ্রেস নেতারা তাদের বক্তব্যে অভিযোগের সুরে বলেন, বনগাঁ শহরের ব্যবসায়ী থেকে টোটো চালক, রিকশাচালক থেকে ট্রাক চালক সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ স্বস্তিতে নেই। প্রতিবাদ করার উপায় নেই। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেতারা জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারা বনগাঁ থানার সামনে পথসভা, বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।