দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: সামনেই রাজ্যসভা নির্বাচন। রাজ্যে পাঁচটি আসন ফাঁকা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃণমূলের হাতে রয়েছে চারটি। সেই চার আসনে দুই মহিলা ও দুই পুরুষ প্রার্থী দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থীরা হলেন মৌসম বেনজির নুর, অর্পিতা ঘোষ, সুব্রত বক্সি ও দীনেশ ত্রিবেদী।
আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যের খালি হওয়া পাঁচ আসনে নির্বাচন। আগামী ২ এপ্রিল রাজ্যের পাঁচ রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরা হলেন মণীশ গুপ্ত, কেডি সিং, ইমরান আহমেদ হাসান, যোগেন চৌধুরী ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পাঁচটি আসনের জন্যই নির্বাচন হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের যা শক্তি তাতে চারটি আসনে জয় নিশ্চিত দলের। সেই চারটি আসনেরই প্রার্থীদের নাম এদিন ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। ১৬ মার্চ হবে স্ক্রুটিনি। ভোট হবে ২৬ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।
তৃণমূল কংগ্রেস যাঁদের প্রার্থী করেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে তাদের তিনজনই গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মৌসম বেনজির নুর মালদহ উত্তরে বিজেপির খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হন। অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাটে পরাজিত হন বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের কাছে। আর দীনেশ ত্রিবেদী পরাজিত হন বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের কাছে। সেই তিনজনকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা। একই সঙ্গে প্রথম দিন থেকে দলের সৈনিক সুব্রত বক্সিকেও পাঠাচ্ছেন রাজ্যসভায়। তিনি অতীতে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু উনিশের ভোটে আর লোকসভায় প্রার্থী হতে চাননি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। তখনই ঠিক ছিল তাঁকে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে।
যে দু’জনকে রাজ্যসভায় ফের মনোনয়ন দিলেন না মমতা তাঁরা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব ও তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। তৃণমূলের নেতাদের মতে, মণীশবাবুর বয়স প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই। তিনি নিজেই আর প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন না। অন্যদিকে অনেকের মতে, আহমেদ হাসান সংখ্যালঘু মুখ হলেও কট্টরপন্থী।
তুলনায় মৌসম অনেকে বেশি রাজনৈতিক। তা ছাড়া এর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘুদেরও বার্তা দিতে চাইলেন দিদি। কেন না লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বহু জায়গায় সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল এবং কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। তাতে লাভ হয়েছে বিজেপির। এ বার সেই ভাগাভাগি ঠেকাতে চান মমতা।