দেশের সময়ওয়েব ডেস্কঃ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী দিল্লিতে ভোটের প্রচারে বলেছিলেন, আর ছ’মাসের মধ্যে দেশের যুবকরা ডাণ্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মারবে। কারণ তারা চাকরি পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভাষণে সেকথা উল্লেখ করেছিলেন মোদী। শুক্রবার অসমের কোকরাঝাড়ে জনসভায় ফের তিনি ওই প্রসঙ্গ তুললেন।
তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে কোনও কোনও নেতা আমাকে লাঠি দিয়ে মারার কথা বলেন। কিন্তু মায়েদের আশীর্বাদে আমি বেঁচে আছি। সেজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অসমের মানুষ যাতে আশাবাদী হয়ে ওঠেন, সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি।”
Delighted to be in Kokrajhar. Watch. https://t.co/w4Q5kPPuhJ
— Narendra Modi (@narendramodi) February 7, 2020
রাহুলের মন্তব্য নিয়ে এদিন লোকসভাতেও তুমুল হইচই হয়। সাংসদরা প্রায় নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যের জন্য রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে মন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস এমপিরা আমার দিকে তেড়ে আসেন। তাঁরা আমার কাগজপত্র কেড়ে নিতে চেষ্টা করেন।”
হইচইয়ের মধ্যে স্পিকার সভা কিছুক্ষণের জন্য মুলতবি করে দেন। পরে ফের সভার কাজ শুরু হলে আরও হট্টগোল শুরু হয়। স্পিকার ফের সভার অধিবেশন মুলতবি করে দেন। পরে রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, “বিজেপি নিশ্চয় চায় না, আমি সংসদে কিছু বলি। তাই সম্পূর্ণ অসংসদীয় পথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার এমন এক মন্তব্যের কথা তুলেছিলেন যা আমি বলেছি সংসদের বাইরে।”
পরে রাহুল অভিযোগ করেন, “মোদী প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন না। প্রধানমন্ত্রীর এক বিশেষ পদমর্যাদা আছে। মোদীর আচরণ সেই মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”
এদিন অসমে মোদী শান্তি চুক্তির জন্য বোড়োদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “সারা দেশের মানুষ ওই চুক্তিতে খুশি হয়েছে।” গত ২৭ জানুয়ারি বোড়ো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।