দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কপিলমুনির আশ্রম চত্বরকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সুসজ্জিত একটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। একটি পুকুরের মাঝে থাকছে গঙ্গাদেবীর মূর্তি। পার্কের চারপাশে পুণ্যার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য চেয়ার থাকছে। পার্কটি পুণ্যার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পুকুরের চারপাশে বিভিন্ন রকমের গাছ লাগানো হয়েছে।
পার্কজুড়ে রাখা থাকবে রকমারি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা। মেলার শুরু থেকে পার্কটি পুণ্যার্থীদের কাছে উপহার দিতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোর কদমে।
সোমবার গঙ্গাসাগর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পার্ক–সহ কয়েকটি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ওইদিন কলকাতা থেকে কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর সেখান থেকে সোজা চলে যাবেন গঙ্গাসাগরে। সেখানে রাত্রি যাপনের পর ৭ জানুয়ারি পাথরপ্রতিমা কলেজ মাঠে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের রাতে গঙ্গাসাগরে ফিরবেন তিনি। কাজের ফাঁকে মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখা ও কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর ৮ তারিখ সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৭ তারিখ রাত পর্যন্ত। ১৫ তারিখ বুধবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নানের যোগ। স্নান চলবে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত।
সাগরতট ও মেলামাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাগর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে পাঁচশো পুরুষ ও মহিলা সাফাইকর্মী। সাগরতট ও মেলাজুড়ে রাখা থাকবে প্রায় দু’হাজারের বেশি ভ্যাট। এছাড়াও মেলাজুড়ে নোংরা–আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য ই–কার্ট ব্যবহার করা হবে। ভ্যাটগুলো নিয়মিত সাফাইয়ের দায়িত্ব থাকবে প্রত্যেকটি ই–কার্টের। প্রত্যেকটি ই–কার্টে চালক–সহ দু’জন করে সাফাই কর্মী থাকবে।
সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, ‘গঙ্গাসাগরে প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে এবারও মেলাতে কাগজের ঠোঙা ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সুফল মিলবে। এরপর মেলা শেষে যেটুক নোংরা–আবর্জনা পড়েবে তা কর্মীরা সাফাই করে দেবে।’