দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকায় ক্রমশ বাড়ছিল ভূতের উপদ্রব। রক্তাক্ত শরীর, গায়ে সাদা ধবধবে পোশাক, মাথা ভর্তি লম্বা রুক্ষ চুল, হাতে অস্বাভাবিক লম্বা লম্বা নখ– এলাকার ফুটপাথবাসী থেকে অন্যান্য বাসিন্দারা রাতের অন্ধকারে মাঝে মধ্যেই দেখা পাচ্ছিলেন তাদের।
ভূতের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ পুলিশে পর্যন্ত অভিযোগ জানান এলাকার বাসিন্দারা। আর ক’দিনের তদন্তের পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল সাত সাতজন ‘ভূত’! প্র্যাঙ্ক ভিডিও বানানোর অপরাধে সাত ভূতকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর যশোবন্তপুরের শরিফ নগর এলাকায়। বুঝতেই পারছেন, এঁরা আসলে ‘ভূত’ নয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভূত সেজে প্র্যাঙ্ক ভিডিও বানাচ্ছিল কয়েকজন যুবক। এদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ২২–এর মধ্যে। এলাকার বাসিন্দাদের, ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া ট্যাক্সি বা গাড়িগুলিকে ভয় দেখিয়ে তার ভিডিও বানাচ্ছিল এই সাত যুবক।
‘ঘোস্ট প্র্যাঙ্ক ইন বেঙ্গালুরু’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এই ভিডিওগুলি তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে উপার্জনের আশায় এই ধরণের ভিডিও বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরণের ভিডিও বানাতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের কোনওভাবেই উত্তক্ত করা যাবে না বলে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় যশোবন্তপুরের শরিফ নগর এলাকায় একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত যুবককে গ্রেপ্তার করা হল।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন কৃষি বিভাগের ছাত্র। আর কয়েকজন সদ্য স্নাতক হওয়ার পর বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। রেল স্টেশন, রাস্তাঘাটে পথচলতি মানুষ সহ গাড়ি দেখতে পেলেই ভয় দেখাতো এই ‘ভূত’। তালিকা থেকে পুলিশও বাদ যায়নি। অবশেষে শ্রীঘরে যেতে হল সাত ‘ভূত’কে।