দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজির চিন্তার আলো আজও কতটা প্রাসঙ্গিক, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে এসে সে কথাই তুলে ধরলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘কবিগুরুর মুক্ত চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক।
প্রকৃতির থেকে শিক্ষা নেওয়ার যে ভাবনা কবিগুরু ভেবেছিলেন, গান্ধীজি ভেবেছিলেন, তাকে দেশকালের সীমারেখায় বাঁধা যায় না। সেই ঐতিহ্যকে মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে এখনকার প্রজন্মকেও।’’।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার বিকেলেই শান্তিনিকেতনে আসেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ছিলেন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকারও। শান্তিনিকেতনে রাত্রিবাসের পর আজ সকালে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে মিলিত হন রাজ্যপাল। তোলেন সেলফিও।
এ দিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নন্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে পোষ্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় ডিএসওর সদস্যরা। ওই গেট দিয়ে কোনও অতিথির প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল না। তবে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হটিয়ে দেয়। এরপরেই সমাবর্তন শুরু হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি।
রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজির প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘কবিগুরু ও গান্ধীজি দু’জনেই ছিলেন দু’জনের অত্যন্ত কাছের মানুষ। ১৯৩৫ সালে যখন প্রবল অর্থ সঙ্কটের মুখে বিশ্বভারতী, তখন প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন গান্ধীজিই। রবীন্দ্রনাথের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকার ড্রাফট। আবার ১৯৩২ সালে গুরুদেবের উপস্থিতিতেই মহাত্মাজির অনশন ভঙ্গ।’’
কোন মহান মানুষদের চিন্তা ঘিরে ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়কে, সেই অতীত ঐতিহ্যকে স্মরণ করেই বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ছবি -সৌজন্যে বিশ্বভারতী।