দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ধরে নেওয়া যায় দু’ সপ্তাহ অন্তর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মাসে গড়ে প্রায় দু’বার করে আসছেন বিজেপি সভাপতি। জোরকদমে চলছে প্রচার, সভা, সমাবেশ। কিন্তু তিনি নেই। কোথাও নেই। না প্রচারের মঞ্চে। না সোশ্যাল মঞ্চে। এমনকী টিভি, খবরের কাগজেও দেখা মেলেনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপি–র অন্দরমহলেও। রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে বেশ ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতে কেন দেখা যাচ্ছে না বিজেপি–র রাজ্যসভার সাংসদকে? অনেক নেতাই বলতে শুরু করেন, উনি দলে রয়েছেন কিনা! খবর, সেকারণেই নড়েচড়ে বসেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছে রূপাকে। আর সে কারণেই অবশেষে রথে চড়লেন ‘দ্রৌপদী’।
গত বুধবার রাজ্য বিজেপি–র রাঢ়বঙ্গ জোনের ‘পরিবর্তন যাত্রা’-য় যোগ দেন রূপা। বীরভূমে রথে চেপে ঘুরেছেন। রাতে যেখানে রথ থাকছে, সেখানে হোটেলে থাকছেন। পরদিন ফের রথে উঠছেন। যেখানে রথ দাঁড়াচ্ছে, সেখানে সমাবেশে বক্তৃতাও করছেন। সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করছেন। জানা গেছে চার রাত, পাঁচদিন রথে চেপে ঘুরবেন তিনি।
কিন্তু কী এমন হল, যে তিনি হঠাৎ রাজনীতির ময়দান থেকে গায়েব হয়ে গেলেন? ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি–তে যোগ দেন তিনি। সেবার হাওড়া উত্তর থেকে ভোটেও লড়েছিলেন। যদিও তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মীরতন শুক্লার কাছে হেরে যান।
তার পরেও বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী হন রূপা। দাপটে রাজ্যের শাসকদলের বিরোধিতা করেন। তাঁর পোশাক–আশাকের পরিবর্তনও নাজর কাড়ে। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে টিকা। ওই বছরই তাঁরে রাজ্যসভায় পাঠায় বিজেপি। তার পরেও সংসদে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তিনি। কিন্তু তার পর ধীরে ধীরে লোকসমক্ষে আসা কমিয়ে দেন তিনি। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় দেখাই যাচ্ছিল না তাঁকে।
রাজ্য নেতৃত্ব বারবার নির্দেশ দিলেও কানে তোলেননি বলে খবর। অবশেষে দিল্লি থেকে কড়া নির্দেশ আসার পর রথে চড়লেন তিনি। তবে কতদিন প্রচার করবেন, সেই নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে বিজেপি নেতাদের৷