দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ৩০ শতাংশ রুম ভাড়া দিয়ে চালু হয়ে গেল ৩০ শতাংশ হোটেল। শুরু হয়েছে পর্যটক আনাগোনাও। এতেই খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে সৈকতের পর্যটন মহলে। সরকারি বাসে, নিজস্ব ছোট গাড়িতে করে গত বৃহস্পতিবার বেলার পর হাওড়া, হলদিয়া, কলকাতা থেকে এসেছেন একাধিক পর্যটক। তবে হোটেল খোলার ব্যাপারে ছাড়পত্র মিললেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এখনও, সমুদ্রস্নানে,সমুদ্রপাড়ে আড্ডা দেওয়া কিংবা ভিড় করাও বারণ।
দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক প্রশাসকের কথায়, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব–সহ যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে পর্যটক, ব্যবসায়ী, কর্মী সকলকে। এক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে পুলিশকে।’ রেস্টুরেন্ট এবং খাওয়ার হোটেল খুলছে না। থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাযুক্ত রাস্তার পাশের হোটেলগুলোকেই আপাতত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল মালিক সংগঠকরা। বুধবার রাতের বৈঠকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই নীতিতে স্থির থাকার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। লকডাউনের জেরে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে দিঘা সৈকতনগরীর পর্যটন বাজার।
বন্ধ হয়ে যায় দিঘার ৬০০ হোটেলকে ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের রোজগারের উপায়। সুরাহা করতে সুরক্ষা বিধি মানার শর্তে ‘আনলক ১’ পর্বে ৮ জুন থেকে হোটেল, লজ, রিসর্ট খোলার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য। সরকারি নির্দেশে ওই দিন থেকে হোটেল, রিসর্ট, লজ খুলে গিয়েছিল মন্দারমণিতে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের আপত্তি মেনে হোটেল খোলার ব্যাপারে পিছিয়ে এসেছিলেন দিঘা–শঙ্করপুরের হোটেল মালিকরা। স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ৩০ জুনের আগে দিঘা–শঙ্করপুরে হোটেল খুলবে না বলে বলা হয়েছিল। আবার স্থানীয় মানুষের মত পরিবর্তনে বুধবার বৈঠকে বসে দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
লকডাউনের জেরে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে সৈকতনগরীর পর্যটন বাজার। বন্ধ হয়ে যায় দিঘার ৬০০ হোটেলকে ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের রোজগারের উপায়। সুরাহা করতে সুরক্ষা বিধি মানার শর্তে ‘আনলক ১’ পর্বে ৮ জুন থেকে হোটেল, লজ, রিসর্ট খোলার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য। সরকারি নির্দেশে ওই দিন থেকে হোটেল, রিসর্ট, লজ খুলে গিয়েছিল মন্দারমণিতে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের আপত্তি মেনে হোটেল খোলার ব্যাপারে পিছিয়ে এসেছিলেন দিঘা–শঙ্করপুরের হোটেল মালিকরা। স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ৩০ জুনের আগে দিঘা–শঙ্করপুরে হোটেল খুলবে না বলে বলা হয়েছিল।
আবার স্থানীয় মানুষের মত পরিবর্তনে বুধবার বৈঠকে বসে দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ৩০ শতাংশ হোটেল চালুর। সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘করোনা সংক্ৰমণ প্রতিরোধে যাবতীয় নিয়ম বিধি মেনে এবং কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে নিয়ম মানতেই হবে, তাতে কোনও আপস করা যাবে না।’ বৃহস্পতিবার শতাধিক পর্যটক ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘা এবং শঙ্করপুরের কয়েকটা হোটেলে উঠেছেন বলে জানানো হয়েছে দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। সংখ্যায় কম হলেও লকডাউনের আড়াই মাস বাদে এদিন সৈকতে দেখা মেলে পর্যটকদের। অটো, টোটো, রিকশা নিয়ে রাস্তায় বেরোতে দেখা যায় স্থানীয় লোকজনদের। নিউ দ্ঘিার হোটেল ভেনাসের কর্ণধার অরূপ চৌধুরী বলেন, স্টার হোটেলের মতো বেশ কিছু হোটেল খুললেও মাঝারী স্টান্ডারড হোটেল খোলেনি ,দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে খুবই আর্থিক চাপে পড়েছি আমরা ,বহু হোটেল ব্যাবসায়ী ব্যাঙ্কের থেকে লোন নিয়ে ব্যাবসা শুরু করেছিল, ব্যাবসা সম্পূর্ণ বন্ধ তবু লোনের টাকা স্টাফের টাকা দিতে হচ্ছে খুবই সমস্যায় পড়েছে আমার মতো অনেক হোটেল মালিকেরা। সরকার যদি কোন অনুদান দিত তাহলে ফের ভালভাবে ব্যাবসা করতে পারতাম৷ জানিনা এ ভাবে আর কতদিন চলবে,তবে পাশাপাশি অন্য হোটেলগুলিতে এবং রাস্তায় কিছু কিছু পর্যটক দেখে মনে হচ্ছে ফের দিঘা সৈকতনগরীর পর্যটন বাজার ফিরবে তার আগের মহিমায়৷
পর্যটক শূন্য নিউ দিঘার হোটেল ভেনাস