দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অমানবিকতার এ কোন চিত্র দেখল কলকাতা! বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে মেরে ফেলা হল এক শিশুকে! আদতে তিন-তিনটি শিশুকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে! এক শিশু কোনও ভাবে রেলিংয়ে আটকে গিয়ে প্রাণ বাঁচলেও বাকি দুই শিশু পড়ে যায়। মারা যায় তাদের মধ্যে একজন। রবিবার বড়বাজার থানা এলাকায়, ব্রেবোর্ন রোড লাগোয়া নন্দরাম মার্কেটের কাছে একটি বহুতলে এই ঘটনায় স্তম্ভিত খোদ পুলিশও!
জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত ছিল প্রতিবেশীর সঙ্গে গন্ডগোল। এর জেরেই এই কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত। দু’বছরের ও ছ’বছরের দুই শিশুকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেয় সে। তৃতীয় শিশুটি কপাল জোরে বেঁচে যায়। পড়শিরা জানিয়েছেন, বাড়িটির ছ’তলায় একাধিক পরিবারের বাস। বহুতলের ওই বারান্দায় বাচ্চাদের খেলা করা নিয়ে দীর্ঘদিনের গন্ডগোল ছিল প্রতিবেশীদের মধ্যে। এ দিন বিকেলেও কয়েকটি শিশু খেলছিল বহুতলের বারান্দায়। তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময়ে শিবকুমার গুপ্ত নামে এক প্রতিবেশী হঠাৎ করেই দুই শিশুকে তুলে রেলিংয়ের উপর দিয়ে নীচে ফেলে দেয়!
সকলের চোখের সামনে ঘটে যায় এমনটা! উপস্থিত অন্য প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ার আগেই মুহূর্তে ঘটে যায় ঘটনাটি। নীচে পড়ে যায় শিশু দু’টি। আরও একটি শিশুকে ধাক্কা মেরে ফেলতে গেলে কোনও মতে বাকিরা বাধা দিয়ে আটকান। বারান্দার রেলিং ধরে ঝুলে কোনও মতে প্রাণে বাঁচে তৃতীয় শিশুটি।
পাঁচতলা থেকে সোজা নীচে পড়ে গুরুতর জখম হয় দুই শিশু। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত শিবকুমার গুপ্তকে আটক করেছে পুলিশ। গোটা এলাকায় রয়েছে বড়বাজার থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়েছিল, তাতে এমন ভয়ানক ঘটনা কী করে ঘটাল ওই ব্যক্তি, ভেবে পাচ্ছে না কেউ। তার কোনও মানসিক সমস্যা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।