১ টাকায় চিকিৎসা, ১০ টাকায় খাবার,বিনামূল্যে শিক্ষা মহারাষ্ট্রে, আগামী ৫ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করল সেনা-সরকার

0
353

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি বা কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম (সিএমপি) প্রকাশ করেছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতৃত্বের আগড়ি জোট সরকার। আর তাতে সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে রীতিমতো চমক! সে সব চমকের মধ্যে রয়েছে এক টাকায় চিকিৎসা এবং ১০ টাকায় ভরপেট খাবার পরিষেবা। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মহিলাদের আলাদা করে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে। মকুব করা হবে কৃষিঋণ।

অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি পরিষেবায় সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটা সুবিধা নিয়ে আসছে নতুন জোট-সরকার।

পাশাপাশি আরও দাবি করা বেসরকারি চাকরি ক্ষেত্রে স্থানীয়দের ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। গরিবদের থাকার জন্য বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। গাছ কাটা বন্ধ করার ব্যাপারেও উদ্যোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রোগ্রামে। এমনই নানা মনোহরা পরিকল্পনার কথা সামনে এনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিন দলের আগড়ি জোট।

সিএমপি লিখিত ভাবে প্রকাশ করার সময়ে আগড়ি জোটের নেতারা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও রকম বিভেদ করবে না সরকার। ধর্ম, জাত, ভাষার ভিত্তিতে কেউ কোনও সুবিধা পাবে না, বা অসুবিধার সম্মুখীন হবে না। মহারাষ্ট্র সরকার ও এই নতুন আগড়ি জোট– এই দুইযের মধ্যে সমন্ব. সাধন করার জন্য দু’টি পৃথক কোঅর্ডিনেশন কমিটি গড়া হবে।

আগড়ি জোটের তিনটি পৃথক দল যৌথ ভাবে জানিয়েছে, কোনও কিছুর সঙ্গে আপস না করে মহারাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নই তাদের লক্ষ্য।

সিএমপি প্রকাশ করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে, এনসিপি-র জয়ন্ত প্যাটেল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব খোরাট। অনুষ্ঠানে প্রশ্ন ওঠে শিবসেনার হিন্দুত্ব-নীতি নিয়েও। একনাথ শিন্ডে জানিয়ে দেন, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের তরফে তাঁদের দলের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটি হল, যে কোনও মানুষ নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেন অন্যের ক্ষতি না করে। ধর্মনিরপেক্ষতাই দলের বর্তমান নীতি বলে দাবি করেছেন তিনি।

তবে এই সিএমপি-তে স্থানীয়দের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, বাসস্থানের শংসাপত্র থাকা মানুষদের। অর্থাৎ যাঁরা ১৫ বছর ধরে এ রাজ্যে রয়েছেন, তাঁরা এই সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ অবশ্য সদ্যপ্রকাশিত সিএমপি-র সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়া এলাকা যেমন বিদর্ভ বা উত্তর মহারাষ্ট্রের কথা বলাই হয়নি এই কর্মসূচিতে।

Previous articleমহিলাদের জন্য মমতার নতুন প্রকল্প ‘জাগো’
Next articleসাইকেল সারাতে দিয়ে ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না, কেরল পুলিশে অভিযোগ ১০ বছরের কিশোরের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here