১০৬ দিন তিহাড় জেলে থাকার পর অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম

0
398

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১০৬ দিন তিহাড় জেলে থাকার পর অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জামিন দিয়েছে। তারপর সব কিছু নিয়মকানুন সেরে রাতে তিহাড় থেকে মুক্তি পান এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। জেলের বাইরেই এদিন সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করছিলেন কংগ্রেস সমর্থকরা। চিদম্বরম জেল থেকে বেরোতেই তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। তাই এখনই কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকু অবশ্যই বলব যে ১০৬ দিন জেলে রাখার পরেও আমার বিরুদ্ধে ওরা কোনও চার্জ গঠন করতে পারেনি”।

চিদম্বরমকে জামিনের শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, তিনি বিনা অনুমতিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। যখনই জেরার জন্য ডাকা হবে, তখনই তাঁকে উপস্থিত হতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে পারবেন না, কাউকে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না, কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

চিদম্বরমের ছেলে কার্তি এদিন সকালে টুইট করেছেন, “অবশেষে ১০৬ দিন পর!” সেইসঙ্গে দিয়েছেন একটি স্মাইলি। কংগ্রেস টুইট করেছে, “অবশেষে সত্যের জয় হল। সত্যমেব জয়তে।” সুপ্রিম কোর্ট লক্ষ করেছে, ‘ট্রিপল টেস্ট’-এ চিদম্বরমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ চিদম্বরম আত্মগোপন করেননি, প্রমাণপত্র বিকৃত করেননি বা তদন্তকারীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেননি।

এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট চিদম্বরমকে জামিন দিতে অস্বীকার করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। এদিন তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করার সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলে থাকা অবস্থাতেই কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর ওপরে প্রভাব খাটিয়েছেন। বিপরীতে চিদম্বরমের পক্ষের কৌসুলি সওয়াল করেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে কারও কেরিয়ার ও সম্মান নষ্ট করা উচিত নয়।

গত ২১ অগস্ট সিবিআই চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে। ওই সংস্থা আইএনএক্স মিডিয়া কেসে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। অভিযোগ, ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকার সময় চিদম্বরম আইএনএক্স মিডিয়া নামে এক সংস্থাকে বেআইনিভাবে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দেন। এরপরে টাকা তছরুপের মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে ১৬ অক্টোবর।

সিবিআই এবং ইডি বার বার তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছে, টাকা তছরুপ করা খুব গুরুতর অপরাধ। তাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়। চালু ব্যবস্থাটার প্রতি মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। চিদম্বরমের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিংভি। তাঁরা বলেন, চিদম্বরম টাকা তছরুপ করেছেন বলে প্রমাণ নেই। তিনি সাক্ষীদেরও প্রভাবিত করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জ গঠনও করতে পারেনি তদন্তে এজেন্সি। সব দিক থেকেই তাঁর জামিন প্রাপ্য।

Previous articleমহিলাদের উচিত কন্ডোম সঙ্গে রাখা, ধর্ষকদের ধর্ষণে সাহায্য করা বিস্ফোরক মন্তব্য পরিচালক ড্যানিয়েল শ্রদবানের
Next articleশুধু প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি,আসিফা টুইংকেল নয় প্রতি মুহূর্তে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হয়ে যাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদ করলেন বনগাঁর মানুষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here