দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ হিঙ্গলগঞ্জ যাওয়ার পথে বাসন্তী হাইওয়েতে মিনাখাঁ থানার বালিরহাটে দুর্ঘটনায় পড়ল অর্জুন সিংয়ের কনভয়ে থাকা একটি গাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন কম্যান্ডো। এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ির পেছনের চাকা ফেটে গিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে উল্টে যায় গাড়িটি। সেই গাড়িতে তখন অর্জুন সিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। তাঁদের মাথায়, হাতে ও পায়ে চোট লেগেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁদেরকে ভোজেরহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও ডাক্তার সুভাষ সরকার। স্থানীয় মানুষ ও পথচলতি মানুষরাই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
চলতি মাসের ১২ তারিখ কৃষই সুরক্ষা বিলের সমর্থনে ও উমফান দুর্নীতির প্রতিবাদে হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হেমনগর কোস্টাল থানার যোগেশগঞ্জ ২৩৪ নম্বর বুথের মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে পথসভা করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাতিল হয় সেই পথসভা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পরের দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিজেপির দলীয় অফিসের সামনে টাঙানো পতাকা ছিঁড়ে দিতে থাকে। বিজেপির কর্মীরা বাধা দিলে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। মারধরে জখম হন পাঁচজন। তাঁদের যোগেশগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলচণ্ডী গ্রামের ২৩৪ নম্বর বুথের সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মন্ডলকে(৫৩) বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার মারা যান তিনি। সেই খবর আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মঙ্গলচণ্ডী গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে হাসনাবাধে বনবিবির সেতুতে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বুধবার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং,সৌমিত্র খাঁ, ও ডাক্তার সুভাষ সরকার। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মিনাখাঁ থানার বালিরহাটে বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার মুখে অর্জুন সিংয়ের কনভয়ে থাকা একটি গাড়ি। এলাকার মানুষই ছুটে এসে জখম নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।