দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় দোষিদের কাউকে ছাড়া হবে না। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ। টুইট করে এই সিদ্ধান্ত রাজ্য পুলিশ জানানোর পরে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রিটুইট করেন। আর এতেই পরিষ্কার, মুখ্যমন্ত্রীও কড়া পদক্ষেপ চাইছেন।
We are taking strong action against everyone involved in the incident at Tikiapara, Howrah today. The perpetrators will be identified & brought to justice. No transgression of the law anywhere will be tolerated.
— West Bengal Police (@WBPolice) April 28, 2020
মঙ্গলবার লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বাধা পায় পুলিশ। রাস্তায় নামা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ছ’জন। পরে রাতে পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন রাতেই ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলিলিয়াস রোডে বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে। তার মধ্যে ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ।
কিন্তু পুলিশের কথায় পাত্তাই দিতে চায়নি তারা। উল্টে পুলিশের সঙ্গে বচসা এমনকি ধাক্কাধাকি শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেউ কেউ পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেয়। তাদের দেখাদেখি সেখানকার আরও কিছু লোকজন পুলিশের দিকে মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ও বোতল ছোড়া শুরু হয়। তাতেই দুই পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশ সেখান থেকে দ্রুত সরে যায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। ততক্ষণে ভাঙচুর শুরু হয়ে যায় স্থানীয় ফাঁড়িতে।
এর পর এলাকায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ। প্রথমে ব়্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে। এই খবর শুনে এর পর হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এখন এলাকায় পুলিশের টহল চলছে। সেখানে উত্তেজনাও রয়েছে।
হাওড়ার এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে জলঘোলাও শুরু হয়েছে। তাতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। সেই কারণেই এদিন প্রথমে রাজ্য পুলিশ কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরা মতে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাজনের রাজনীতির চেষ্টা করা আরও নিন্দনীয়। বেলিয়াস রোডে এদিন যা হয়েছে, তা একটি ঘটনা হিসাবে দেখা উচিত। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু তার অতিরিক্ত নয়। বরং সংকটের এই সময়ে সমাজের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকাই বাঞ্ছনীয়।