দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দু’মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পরে বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রিবাহী বিমান চলাচল শুরু হল রাজ্যের দুই শহর কলকাতা এবং বাগডোগরা থেকে। বিমান বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন ১১ জোড়া অন্তর্দেশীয় বিমান ওঠানামা করেছে এই দুটি বিমানবন্দরে। ১১টি বিমান অন্য রাজ্য থেকে এসে নামবে ও ১১টি বিমান অন্য রাজ্য যাওয়ার উদ্দেশে উড়বে।
জানা গেছে, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, গুয়াহাটি-সহ দেশের বেশ কয়েকটি বড় শহরের উদ্দেশে এ দিন যাত্রিবাহী বিমান উড়ে যায় কলকাতা থেকে। সকালে দিল্লি থেকে প্রথম যে বিমানটি এসে কলকাতা পৌঁছয়, তাতে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এয়ার এশিয়ার সেই বিমানটির এক যাত্রী নামার পরে তাঁকে রাজারহাটের হাসপাতালে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। কারণ বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে ওঁর দেহের তাপমাত্রা বেশি ছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ওই যাত্রীর দায়িত্ব নিয়েছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই এ দিন সকাল থেকে শুরু হয় বিমান পরিষেবা। সেই নির্দেশিকা মেনে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে ঢোকার মুখেই বিমানবন্দর কর্মীরা সমস্ত যাত্রীদের মালপত্রে স্যানিটাইজার স্প্রে করেন। লাউঞ্জে ঢোকার মুখেই যাত্রীদের জন্য রাখা রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সমস্ত যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। তবেই তাঁরা বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকছেন।
বিমানবন্দরের কর্মীসংখ্যাও অনেক কম রয়েছেন, নির্দেশিকা অনুযায়ী। এমনকি যাত্রীদের পরিচয়পত্রও কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন না, তা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে স্ক্যান করিয়ে নিতে হচ্ছে। এর পরে কাচঘেরা সিআইএসএফ কিয়স্কে পরীক্ষা করা হচ্ছে যাত্রীদের। সেখানেও যাত্রীদের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ এড়ানোর চেষ্টা করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।
শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরের লাউঞ্জে যাত্রীদের বসার চেয়ারের ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্বের বিধি কার্যকর করা হয়েছে। বিমানে দেওয়া হচ্ছে না কোনও ম্যাগাজিন, খাবার, ইয়ারফোন। বিমানকর্মীরা পিপিই পরে যাত্রীদের পরিষেবা দিয়েছেন দিনভর।
বাগডোগরা বিমানবন্দরেও এদিন ৬টি বিমান ওঠা-নামা করে। লকডাউনের সময় দিল্লিতে আটকে পড়া দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তও আজই দিল্লি থেকে ফেরেন। যাত্রীরা যাতে বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেন এবং বিমানবন্দরে নেমে গন্তব্যে যেতে পারেন, সে জন্য রাজ্য পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে বাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাবেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।