স্বাধীনতা দিবস জীবনের সচেয়ে বড় দিন,ঘরে ঘরে পতাকা তুলুন: মুখ্যমন্ত্রী

0
520

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোভিড সংক্রমণের কারণে  এবার ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে বড় জমায়েত করা যাবে না। রেড রোডেও বিরাট কুচকাওয়াজ হচ্ছে না এবার। কিন্তু ওই দিন ঘরে ঘরে পতাকা তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “১৫ অগস্ট আসছে। এবার সমস্যা আছে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় দিন। প্রধান দিন। এই দিনের সঙ্গে অন্য কোনও দিনের তুলনা হয় না। এটা আমাদের স্মরণীয়, বরণীয়, ঐতিহাসিক, গণতান্ত্রিক—সব দিক দিয়ে বড় দিন।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে অন্য কোনও দিনের তুলনা হয় না এই মন্তব্য করে মমতা আসলে গতকাল অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাকেই ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেছেন। রামমন্দিরের ভূমিপুজোর পর মোদী তাঁর বক্তৃতার একটি অংশে ৫ অগস্ট ও ১৫ অগস্টের গুরুত্বের তুলনা টানেন। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার জন্য যেমন অসংখ্য মানুষের ত্যাগ রয়েছে, তেমন রামমন্দিরের জন্যও ত্যাগ রয়েছে।”

এদিন মমতা বলেন, “দরকার হলে ঘরে ঘরে পতাকা তুলুন। জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানোটাই বড় কথা।” এবারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা আবেদন করেন, কোথাও কোনও বড় জমায়েত না করতে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রেড রোডের অনুষ্ঠানে এবার একেবারে ছোট করে করা হবে। তাঁর কথায়, “অন্যবার রেড রোডে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। কিন্তু এবার সেসব কিছুই হচ্ছে না। শুধু পতাকা উত্তোলন হবে এবং কয়েক জন কোভিড ওয়ারিয়রকে সংবর্ধনা জানানো হবে।”

এদিন লকডাউনের দিন বদল নিয়ে বিজেপির উদ্দেশে ঘুরিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন মমতা। প্রসঙ্গত গত সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল লকডাউনের দিন বদলের কথা। তাতে বলা হয়েছিল, ১৬ ও ১৭ অগস্ট লকডাউন হচ্ছে না। তার পরিবর্তে ২০ ও ২১ অগস্ট লকডাউন হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৭ তারিখ মনসা পুজো রয়েছে। মনসা পুজো বাংলায় হয়। নাথিং নিউ। আর ১৬ তারিখ পার্সিদের নববর্ষ। তাই ওই দু’দিন লক বাতিল করা হয়েছে।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির তরফে প্রচার করা হচ্ছিল, রামমন্দিরের ভিত পুজোর উদযাপন আটকাতেই রাজ্য সরকার লকডাউন করেছে ৫ অগস্ট। তাঁদের মতে, এদিন মমতা বোঝাতে চাইলেন, বাংলার সংস্কৃতিকে তিনি গুরুত্ব দেবেন। মনসা পুজোয় তাই লকডাউন ঘোষণা করেও রাজ্য সরকার তা প্রত্যাহার করতে কুণ্ঠা করেনি। আবার সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে পার্সিদের নববর্ষের কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “শাক দিয়ে আর মাছ ঢাকা যাবে না। বাংলার মানুষ দেখে নিয়েছে কী ভাবে রামপুজো আটকাতে জেলায় জেলায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। একুশের ভোটেই এর জবাব পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

Previous articleউৎসবের দিনগুলো দেখে লকডাউন করুন,জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleওপার বাংলার পদ্মার ইলিশ নিয়ে এপার বাংলায় ঢোকার সময় পেট্রাপোল সীমান্তে পাকড়াও ট্রাক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here