দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উনিশের ভোটের কথা মনে আছে!
বিষ্ণপুর লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলাতেই প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রচারের জোয়াল একা কাঁধে নিয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ।
সোমবার সকালে সেই সুজাতাকে দেখা গেল কুণাল ঘোষের সঙ্গে। কুণাল এখন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র। রাজা রামমোহন রায় রোডে বাড়ি হলেও, তিনি প্রায় সর্বত্রই এখন অবস্থান করছেন তৃণমূলের ভরকেন্দ্রের কাছাকাছি।
ব্যাপারটা কী হল!
দেখা গেল পৌনে একটা নাগাদ কুণালের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে এসেছেন সুজাতা। প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষ তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেন।
এমনিতে বড় বাড়ির অন্দরের ঘটনা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল থাকে। তা হাছা না মিছা তা পরোয়া না করেই জল্পনা চলে, তাতে রঙ লাগে নানারকম। সৌমিত্র খাঁ এখন বিজেপি সাংসদ। রাজ্য বিজেপি-র যুব মোর্চার সভাপতি। রবিবারই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অনগ্রসরতা নিয়ে যখন নানা রকম পরিসংখ্যান তুলে ধরছিলেন অমিত শাহ, তখন বলেছিলেন, এ ব্যাপারে কখন কোথায় তর্ক করতে হবে বলবেন, আমাদের যুব মোর্চার সভাপতি পৌঁছে যাবেন।
এ হেন সৌমিত্রর বাড়িও এখন একপ্রকার বড় বাড়িই। ফলে সেই বাড়ির অন্দরের ঘটনাও বেরিয়ে পড়ছে। তা কতটা সত্যি, মিথ্যা স্পষ্ট নয়। তবে শোনা যাচ্ছে যে স্বামী স্ত্রীর এখন বনিবনা নেই। লোকসভা ভোটে সৌমিত্রর হয়ে প্রচারের পর থেকে নাকি সুজাতার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা বেড়েছে।
বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা বিলক্ষণ জানাচ্ছিলেন দলের নেতারা। অমিত শাহও রবিবার বলেছেন, বিজেপিতে পরিবারতন্ত্র নৈব নৈব চঃ।
অনেকে বলছেন, তৃণমূল হয়তো সেই সুযোগই নিয়েছেন। সুজাতা কতটা কার্যকরী হবেন পরের কথা। কিন্তু রাজনীতিতে এমনই তো হয়। বিষ্ণুপুরে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সুজাতাকে দিয়ে যদি মুখ খোলানো যায়, তা যদি কিছুটাও প্রভাব ফেলতে পারে ক্ষতি কি!
এদিন সৌগত রায় বলেন, “সুজাতা বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী। আমার মেয়ের মতো। আজ আমাদের পরিবারে যোগ দিলেন। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
সুজাতাকে প্রশ্ন করা হয়, সৌমিত্র খাঁও কি তৃণমূলে ফিরবেন? তাঁর জবাব, “আমি চাই ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দেখুন না কী হয়!”