আত্মজিৎ চক্রবর্তী, গাইঘাটা: সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত গাইঘাটা ব্লকের জলেশ্বর ,ইছাপুর এলাকার বহু বাড়ি ও ফসল ক্ষেত । এদিনের ঝড়ে বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে অন্যত্র । ভেঙেছে প্রচুর ইলেকট্রিক পোল । কোথাও ইলেকট্রিকের তারে ঝুলছে টিনের চাল । একেই করোনা মহামারীতে বিপদ গ্রস্ত এলাকার মানুষ তার উপরে এদিনের কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ীর চাল উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন গাইঘাটা এলাকার মানুষ ।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার জলেশ্বর পারুইপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ কবিরাজ জানান ঝড়ের সময় বাড়ির সকলে ঘরের মধ্যেই ছিলেন আচমকা টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং ঘরের ইট ভেঙে পড়ে খাটের উপরে । পরিবারের সকলকে নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় ।
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানান আচমকাই ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় গাইঘাটার বিভিন্ন অঞ্চল । ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে শতাধিক বাড়ি ফসলের ক্ষতি হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি । দেখুন ভিডিও:
এদিকে, রাজ্যে বর্ষা প্রবেশের আগেই প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। একদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ অন্যদিকে ভরা কোটালে জারি সর্তকতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকবে বঙ্গে। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার হুগলির খানাকুল এলাকায় বাজ পড়ে মারা গেছেন একই পরিবারের ২ জন। এছাড়া তারকেশ্বর, পোলবা দাদপুর, হরিপাল, সিঙ্গুরেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদে মৃত মোট ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। আরও ২ জন মারা গেছেন বহরমপুরে।এছাড়া ওই জেলায় আরও ৭ জন বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন বলে খবর। জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
কেন্দ্র সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।