দেশের সময় ,ওয়েবডেস্কঃ টিবি রোগ ধরতে আগেও এমন চেস্ট-এক্স রে বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল মুম্বইয়ের এই সংস্থা। এবার সেই প্রযুক্তির সঙ্গেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জুড়ে দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য ফের এমনই এক্স-রে মেশিন বানিয়েছে তারা। এবারের প্রযুক্তি আরও উন্নত। সেকেন্ডের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে, এমনটাই দাবি মুম্বইয়ের Qure.ai ফার্মের।
যক্ষার সংক্রমণ ধরতে এই সংস্থারই বিশেষ চেস্ট এক্স-রে একসময় কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছিল। ‘নেচার’ জার্নালে এই এক্স-রে প্রযুক্তির কথাও লিখেছিলেন সংস্থার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়াররা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালেও সাফল্য মিলেছে। দেখা গেছে, খুব দ্রুত সংক্রমণ ধরে দিতে পারে এই এক্স-রে। খুব তাড়াতাড়ি গোটা দেশে এই টেকনোলজি ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়র।
কী ভাবে কাজ করে এই এক্স-রে?
সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়র বলেছেন, এক্স-রে টেকনোলজির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলে এই এক্স-রে টেকনোলজির সাহায্যেই সেই সংক্রমণ ধরে দেওয়া যায়। ফুসফুসের অবস্থা কেমন, কতটা গভীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, শরীরে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা, খুব কম সময় সঠিক রিপোর্ট দিতে পারে এই এক্স-রে।
তাছাড়া, যক্ষা রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণ, জরুরি অবস্থা যেমন ফুসফুসের কার্যকারিতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়, হৃদরোগের সম্ভাবনা সবই নির্ভুল ভাবে ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে টেকনোলজি।
সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, কোভিড-১৯ টেস্ট কিন এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। একসঙ্গে অনেক রোগী চলে এলে দ্রুত সংক্রমণ নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। তাছাড়া দেশের সব প্রান্তে এখনও টেস্ট-কিট সেভাবে পৌঁছয়নি। সেখানে ভরসার হাত রাখতে পারে এই টেকনোলজি। ডাক্তার ও রেডিওলোজিস্টরা এই প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই রোগ ধরতে পারবেন। তাছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়েছে সেটা ধরতে পারলে চিকিৎসাও অনেক তাড়াতাড়ি ও নির্ভুলভাবে হবে।
@itnEditor @qure_ai has developed capabilities for its existing chest #X_ray automation and interpretation solution that could help reduce #COVID19 induced burden on #healthcare infrastructure: https://t.co/8BrNk6ORQ0#Coronavirus #2019nCoV #Wuhanvirus #SARScov2
— ITN Editor (@itnEditor) March 24, 2020
সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়রের কথায়, “এই এক্স-রে সবচেয়ে আগে পরীক্ষা করে শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা। ভাইরাল নিউমোনিয়ার সংক্রমণ যদি মৃদুও হয়, সেটাও সেকেন্ডের মধ্যে বলে দেবে এই এক্স-রে। রোগীর শ্বাসযন্ত্রে আর কী কী সমস্যা তৈরি হয়েছে তারও বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে এই টেকনোলজি। সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে এর পরেই সেই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট করা যেতে পারে।”
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও। অনুমোদন পেলে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই এক্স-রে টেকনোলজি ইনস্টল করা হবে। শুধু ভারত নয় ইতালি ও মার্কিন সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সেখানেও পাঠানো হতে পারে ভারতের এই প্রযুক্তি।