সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা

0
503

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দীনেশ ত্রিবেদীর ফাঁকা হওয়া আসনে প্রাক্তন আমলা জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে চমক দিয়েছিলেন দিদি। মানস ভুঁইয়ার আসনেও চমক অব্যাহত। কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনীত করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ।

মাস দেড়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা। তারপর অসম ও ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন সুস্মিতা। এবার তাঁকেই সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাল তৃণমূল।

টুইটারে তৃণমূল লিখেছে, ‘‌মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা ও রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, যা আমাদের সমাজকে আরও অনেক কিছু অর্জনে সাহায্য করবে।’‌ 

সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বলছিলেন, তাঁর ধ্যানজ্ঞান এখন একটাই- তা হল অসম ও ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার। সন্তোষ কন্যা এও বলেছেন, আমি কিন্তু সংগঠনের লোক। আমি সেটাই করতে চাই। তবে শিলচরের ভূমিকন্যাকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল বার্তা দিতে চাইল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা জানালেন, ‘‌আদর্শ নিয়ে সংসদে সোচ্চার হওয়া আমার লক্ষ্য হবে। দিদিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’‌ 

অসম এবং ত্রিপুরাকে যে তৃণমূল ‘প্রায়োরিটি স্টেট’ হিসেবে দেখছে তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে। সুস্মিতা শিলচরের মেয়ে হলেও ত্রিপুরার সঙ্গে তাঁর যোগ অনেকদিনের। সন্তোষবাবু পশ্চিম ত্রিপুরা থেকে জিতে একসময় কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেইসময় বাবার হাত ধরে ত্রিপুরা যেতেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও একদা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সেকথা বলেছিলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর অর্থ একটাই- অসম ত্রিপুরার রাজনীতিতে বার্তা দিল বাংলার শাসকদল। তাছাড়া, সাংসদ হিসেবে সুস্মিতা যখন অসম, ত্রিপুরা চষে বেড়াবেন তখন হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও বিপ্লব দেব সরকারকেই তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। ফলে লজিস্টিক সাপোর্টটাও যে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো বুঝতে পেরেই সুস্মিতাকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাল কালীঘাট।

দলের মধ্যে সমাজকর্মী সাকেত গোখেলের নাম নিয়েও জল্পনা ছিল। তবে দেখা গেল শেষ পর্যন্ত সুস্মিতার নামেই সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কাছে ঋণ পরিশোধ করলেন। মমতার সিপিএম বিরোধী আন্দোলন, কংগ্রেসের অভ্যন্তরে লড়াইয়ের দিনগুলিতে সন্তোষ মোহন সব সময় পাশে থেকেছেন। মমতা যখনই ডাকতেন পাশে থাকতেন সন্তোষ মোহন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি–কে হারাতে তাঁকেই হাতিয়াড় করছেন মমতা এবং অভিষেক। অসমেও সংগঠন বাড়াতে তৃণমূলের ভরসা এই নেত্রী। 

তাছাড়া তৃণমূলের তরফে উত্তরপূর্ব ভারতের কথা সংসদে বলার লোক পাঠালেন মমতা। এতে ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের তৃণমূলের সুবিধা হতে পারে। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও অসমে।

Previous articleএকে করোনা সঙ্গে দোসর বৃষ্টি দুর্যোগের জেরে থমকে গিয়েছে বনগাঁর পটুয়া পাড়ায় প্রতিমা গড়ার কাজ
Next articleভয়াবহ দুর্ঘটনা, চলন্ত ট্রেনের জানলা দিয়ে ছিটকে নীচে পড়ল শিশু! স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here