দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ বিকেল থেকেই গোটা রাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আজ ৫টা থেকে গ্রাম-শহর সর্বত্র লকডাউন জারি করা হল।’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। লকডাউনের সময় বাড়লেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবায় বাধা নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকের পর পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে কলকাতা শহর পরিদর্শনে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লকডাউনের সময় জন সাধারণকে ঘরে থাকার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এক নজরে:

• লকডাউন থাকাকালীন মিলবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবা

• অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য নতুন প্রকল্প

• ‘প্রচেষ্টা’ নামে নতুন প্রকল্প রাজ্য সরকারের

• নয়া প্রকল্পে অসংগঠিন ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সাহায্য

• নবান্নে প্রকল্প ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

• ওই প্রকল্পে আর্থিক সঙ্কটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য মাসে ১ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা

• এর আগে রাজ্যে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা ছিল

• মঙ্গলবার লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী

• প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সর্বদলীয় বৈঠক সম্পর্কে জানিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের পরে পরিস্থিতি ঠিক কী রয়েছে তা দেখার জন্য মাঝেমধ্যেই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে নিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরবেন তিনি। আর পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখবেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তারপরেই দেখা যায় সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুজ শর্মাকে নিয়ে প্রথমেই তিনি যান আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর কর্তৃপক্ষের হাতে মাস্ক তুলে দেন তিনি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যান মুখ্যমন্ত্রী। এই হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার প্রধান সেন্টার হিসেবে তৈরি করার কথা ভেবেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। রাজ্যের তরফে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

এদিনের বৈঠকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সাহায্য করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সময় কলকারখানা, অফিস সব বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা। তাই তাঁদের জন্য ‘প্রচেষ্টা প্রকল্প’ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় এই শ্রমিকদের মাসে হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করবে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন, এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে না বেরতে ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু সেইসঙ্গে মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এই ভাইরাস দূর করা সম্ভব হবে। মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্যসম্পর্কে সচেতন।

সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।”দেশের সময়”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here