দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি লিখে সারদার টাকা ফেরত দিতে চাইলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে নোটিস পাঠিয়ে ইডি বলেছে, ৭ অগস্ট দেখা করতে। কিন্তু শতাব্দী বলেছেন, ওই সময়ে সংসদের অধিবেশন চলবে। তাই তিনি আসতে পারবেন না। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতেই শতাব্দী সারদা থেকে নেওয়া ২৯ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন।
সারদার বিজ্ঞাপনে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ছিলেন সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর। একাধিক সারদার অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই সূত্রেই এই জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি যেমন টাকা লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করছে, তেমন সিবিআই তদন্ত করছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই শতাব্দী-সহ চিটফান্ড তদন্তে প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব করা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ দিবসের সমাবেশে মমতা বলেন, বলেন, “ইডির দপ্তরে শতাব্দী-প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে ডেকে বিজেপিতে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপিতে নাম লেখানোর জন্য এজেন্সি মারফত চাপ সৃষ্টি করছে ওরা। ওঁদের মতো অনেক অভিনেতাদেরই ইডি ডাকছে। যাঁরা যোগাযোগ রাখছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইডির দপ্তরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলা হচ্ছে, অমুক বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করো। এই তো সেদিন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে ডাকল। এখন শতাব্দীকে ডাকছে। শতাব্দী বলছিল, ‘দিদি দেখো ভোট হয়ে গেছে, আমাকে ইডি ডেকেছে।’ ডেকেই বলছে তুমি বিজেপি-র ওমুক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করো। না করলে তোমারও সুদীপ, তাপসের মতো হবে।”
ভোটের আগে থেকেই চিটফান্ড তদন্তে গতি এনেছে সিবিআই এবং ইডি। পুলিশ কর্তা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, একাধিক ব্যক্তিকে গত তিন মাসে জেরা করেছে সিবিআই এবং ইডি। এখন দেখার শতাব্দীর টাকা ফেরতের এই চিঠির পর কী পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।