দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বর্ষীয়ান কংগ্রেসে নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের নাম রয়েছে দিল্লি হিংসার চার্জশিটে। দিল্লি পুলিশ যে ১৭ হাজার পাতার চার্জশিট দিয়েছে তাতে খুরশিদের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে নাম রয়েছে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাতেরও।
বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করে জানা গিয়েছে, “উমর খালিদ, সলমন খুরশিদ এবং নাদিম খান– সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যা রাজধানীর বুকে হিংসাকে তরান্বিত করেছিল।
সূত্রের খবর, সলমন খুরশিদের কোন বক্তৃতা প্ররোচনামূলক ছিল তা নির্দিষ্ট করে বলেনি দিল্লি পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উমর খালিদকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। বলা হয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা দিল্লি হিংসার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।
চার্জশিটে নাম থাকার কথা শুনে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দেখেছেন সলমন খুরশিদ। তিনি বলেছেন, দিল্লি পুলিশ ডাকলে জানতে চাইব আমার কোন বক্তৃতায় হিংসার প্ররোচনা ছিল?
এর আগে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদব, অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষ-আরও কিছু বাম মনস্ক বুদ্ধিজীবীর নামও দিল্লি হিংসার চার্জশিটে উঠেছিল।
কংগ্রেসের তরফেও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লি পুলিশকে বিরোধীদের উপর বুলডোজার চালানোর জন্য ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে দিল্লি পুলিশ এখন বিজেপি তথা আরএসএসের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
বিরোধীদের বক্তব্য, খালি চোখেই দেখা গিয়েছিল মনোজ তিওয়ারি, অনুরাগ ঠাকুরদের মতো বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা কী ধরনের হিংসা ছড়িয়েছিলেন। ‘গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান দেওয়ার পরও তাদের নাম চার্জশিটে নেই। এতেই বোঝা যায় দিল্লি পুলিশ কতটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আগুন জ্বলেছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। বাড়িঘর লুঠপাট, খুন, ভাঙচুর– রাজধানীর বুকে তাণ্ডব চলেছিল ১৫ দিন ধরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিল্লিতে থাকার সময়েও সেই হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারই চার্জশিট ফাইল করেছে দিল্লি পুলিশ। আর তাতেই একের পর এক বিরোধী নেতাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে।