দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিছুদিন আগেই হিন্দিভাষীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁদের দাবিদাওয়া শুনেছিলেন। বৃহস্পতিবার তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেল তাঁকে।
তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরবক্তৃতায় এদিন যা বললেন একনজরে-
ভগবানও সব পারে না। ক’দিন পরে নির্বাচন। এখনও এত এই চাই ওই চাই।
একটা পরিবার রেশন পাচ্ছে, শিক্ষা পাচ্ছে, সাইকেল পাচ্ছে। কী পাচ্ছে না? তার পরেও চাই?
আমাকে ধমকে চমকে কিছু করা যাবে না।
ইন্ডিভিজুয়াল যদি কেউ কেউ এসে এই দিতে হবে ওই দিতে হবে বলে আমি পারব না। তাতে যদি আপনারা আমাদের ভোট না দেন যান দিতে হবে না। আমাদের যারা দেবেন তাতেই সরকার হয়ে যাবে।
আমায় দাদাকে দেখতে হয়েছে। নাহলে সংসারটা ভেসে যেতো। তারসঙ্গে রাজনীতিও করেছি। মাকে কাজ করতে দিতাম না। বাবা মারা গেছে। ভোর ৩টেয় উঠে রান্না করতাম। অনেক কষ্ট করেছি। আর আপনারা সিপিএমের বিজেপির কথা শুনে এইসব করছেন।
যারা বাংলা নিয়ে কথা বলছে তাদের বলব আয়নায় আগে নিজেদের মুখ দেখো।
বিজেপি পার্টিতে কারা যায়? যাদের দু-নম্বরি টাকা থাকে তারা, যারা দাঙ্গা করে তারা। যারা বিশাল টাকা করেছে, তারা গচ্ছিত রাখতে গেছে।
শিল্পীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিজেপির আইটি সেল বলছে আমাদের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখো, বলো। তারজন্য টাকা দেব।
বাজেটে বলছে, ৬৫০ কিলোমিটার রাস্তা করবে বাংলায়। আমি বলেছি তোমরা কী করবে। আমরা ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা অলরেডি করে দিয়েছি।
একটা হাঁস সোনার ডিম দেয় বলে, সব ডিম একসঙ্গে পেতে চাইলে হাঁসটা মরে যাবে। ধৈর্য্য ধরতে হবে তো।
মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারদের ফেরাতে পারে না আর চোরগুলোকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য চার্টার্ড ফ্লাইট। সব চোরেদের সর্দার।
ওরা চাই দাঙ্গা, আমরা চাই শান্তি।
ওদের মত সোনার থালাতে কলা পাতা বিছিয়ে আমি ভাত খাই না।
রাজদীপ আমার একটা ইন্টারভিউ করেছে। তারপর দিন বলেছে ১৫ দিন নাকি তিনি টেলিভিশনে বলতে পারবে না। এই কন্ডিশন দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবে না সাংবাদিকরা।