

বনগাঁ : শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পুরপ্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ। পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে দায়িত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে পুরসভার নির্বাহী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন গোপালবাবু। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন গোপাল শেঠ। পাশাপাশি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরেই বনগাঁর রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বনগাঁ পুরসভার প্রধানের পদে বদলের বিষয়টি মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই চিঠিতে মূলত পুরপ্রধানের পদ থেকে গোপাল শেঠকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও সেই চিঠি সঠিক পদ্ধতিতে তাঁর কাছে প্রেরণ করা হয়নি বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন গোপাল শেঠ। ফলে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এরপর তাঁকে ফের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য চিঠি পাঠান জেলা সভাপতি। তারপরেও বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে ছিল। ইতিমধ্যেই পুরপ্রধান গোপাল শেঠ পুরসভার উপপুরপ্রধান জ্যোৎস্না আঢ্যর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁকে অপসারণের চিঠি পাঠান। আর এই চিঠিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক নতুন করে দানা বাঁধে। ইতিমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে পুরপ্রধান হিসেবে নিজের বিভিন্ন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন গোপাল শেঠ। পদত্যাগের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে গতকাল, বৃহস্পতিবার বনগাঁয় একটি নাগরিক কনভেনশন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন গোপাল শেঠ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না মেলায় সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।

এরপর আজ দুপুরে বনগাঁর মতিগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্প মোড় এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক করেন গোপাল শেঠ। সেখানে তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বনগাঁ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসের উপর দায়িত্ব অর্পণ করে ছুটিতে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে তিনি পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক এর কাছে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘উপ-পুরপ্রধানকে অপসারণের বিষয়টি তুলতেই তিনি আমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেছেন। আজ সকালেই সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়মে বাধা থাকায় এই মুহূর্তে আমি পুরপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারছি না।’
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে একটি চিঠি লিখে কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন গোপাল শে।ঠ সেখানে তিনি যেমন উল্লেখ করেছেন, একজন পুরপ্রধানকে পদত্যাগের চিঠি কোনও দলীয় নেতা তাঁকে সরাসরি দিতে পারেন কিনা, দলের পক্ষ থেকে কেন তাঁকে সরাসরি পদত্যাগের চিঠি দেওয়া হয়নি, কি কারনে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে ইত্যাদি।

এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘বিগত দিনে পুরসভায় যে ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই আমি মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন পদাধিকারীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনো সে ব্যাপারে সেইরকম পদক্ষেপ করা হয়নি।’ আজ তিনি প্রকাশ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন যে, বনগাঁ পুরসভা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক. তাহলে প্রচুর আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়বে। তিনি জানান, গত ৮ বছর ধরে বনগাঁ পুরসভায় অডিট হয় না। তদন্ত হলে শুধু বনগাঁ পুরসভা নয়, পুরসভা পরিচালনা করে রাজ্য সরকারের এমন দপ্তরের অনেকেই ফাঁসবেন বলে দাবি করেন গোপাল শেঠ। দেখুন ভিডিও
নিজের মৃত্যুর আশঙ্কা করে এদিন গোপাল শেঠ বলেন, তাঁর দুজন সিকিউরিটির মধ্যে একজনকে আচমকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে যদি তিনি আক্রান্ত হন বা তাঁর মৃত্যু ঘটে, তাহলে প্রশাসন তার জন্য দায়ী থাকবে বলে এদিন ঘোষণা করেন গোপাল শেঠ। তাঁর উপলব্ধি অনুযায়ী, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে। তবে তিনি মৃত্যুর ভয় না করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও এদিন জানান। গোপাল শেঠের এই বক্তব্যের পর বনগাঁর রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটাই বেড়ে গেল।

এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘বিগত দিনে পুরসভায় যে ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই আমি মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন পদাধিকারীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনো সে ব্যাপারে সেইরকম পদক্ষেপ করা হয়নি।’ আজ তিনি প্রকাশ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন যে, বনগাঁ পুরসভা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক. তাহলে প্রচুর আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়বে। তিনি জানান, গত ৮ বছর ধরে বনগাঁ পুরসভায় অডিট হয় না। তদন্ত হলে শুধু বনগাঁ পুরসভা নয়, পুরসভা পরিচালনা করে রাজ্য সরকারের এমন দপ্তরের অনেকেই ফাঁসবেন বলে দাবি করেন গোপাল শেঠ।

নিজের মৃত্যুর আশঙ্কা করে এদিন গোপাল শেঠ বলেন, তাঁর দুজন সিকিউরিটির মধ্যে একজনকে আচমকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে যদি তিনি আক্রান্ত হন বা তাঁর মৃত্যু ঘটে, তাহলে প্রশাসন তার জন্য দায়ী থাকবে বলে এদিন ঘোষণা করেন গোপাল শেঠ। তাঁর উপলব্ধি অনুযায়ী, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে। তবে তিনি মৃত্যুর ভয় না করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও এদিন জানান। গোপাল শেঠের এই বক্তব্যের পর বনগাঁর রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটাই বেড়ে গেল।



