দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের পরে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য অফিসের সামনে লম্বা লাইন পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুকুল রায়। না, তেমনটা হয়নি। কিন্তু টুকটুক করে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে পদ্ম। গত বিধানসভায় বিজেপি জয় পেয়েছিল তিনটি আসনে। আর উপনির্বাচনে এসেছে চার আসন। সেই সঙ্গে একের পর এক দলবদলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখন ১৪।
২০১৬ সালে তিনটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। মাদারিহাটে মনোজ টিগ্গা, বৈষ্ণবনগরে স্বাধীন সরকার এবং খড়্গপুর সদরে জয় পান বিজেপি রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। এখন দিলীপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় বিধায়াক পদ ছেড়েছেন। খুব শীঘ্রই সেখানে উপনির্বাচন হবে।
লোকসভা নির্বাচনের সময়েই উপনির্বাচনে চারটি আসনে জয় পায় বিজেপি। ভাটপাড়ায় পবন সিং, দার্জিলিঙে নীরজ তামাং জিমবা, হবিবপুরে জোয়েল মুর্মু, কৃষাণগঞ্জে আশিস বিশ্বাস জয় পান।
বিজেপিতে সদ্যই যোগ দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্ত মেয়র তথা বেহাল পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর আগে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং এসেছেন বিজেপিতে। এরও আগে যোগ দিয়েছেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপুরের মনিরুল ইসলাম, বীজপুরের শুভ্রাংশু রায়। এছাড়াও বিজেপিতে এসেছেন বাগদা ও বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক দুলালচন্দ্র বর ও তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায়। এখনও পর্যন্ত মোট আটজন অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছেন।
বিজেপির টিকিটে জেতা আর বিজেপিতে আসা বিধায়কের যোগফল বলছে ৩ থেকে বেড়ে এখন ১৪ বিধায়ক বিজেপির পক্ষে। আরও অনেকের যোগদানের ফলে এই সংখ্যাটা খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে পরে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
সেই সঙ্গে সামনেই তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে। খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ, করিমগঞ্জের ভোটেও বিধায়ক সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বিজেপির। এর মধ্যে খড়্গপুর সদর আসনে বিধায়ক ছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনেও এই আসনে এগিয়ে বিজেপি। অন্য দিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জেও এগিয়ে বিজেপি। করিমগঞ্জে অবশ্য লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।