লুঙ্গি-ট্রাউজার্স পরে গণঘুম কর্ণাটকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের

0
781

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বিধানসভা যে বিছানা হতে পারে, কর্ণাটক না থাকলে বোধ হয় জানাই যেত না। এমনিতে আমাদের দেশের আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের ঘুমোনোর ছবি নতুন কিছু নয়। কিন্তু তা বলে এমন কম্বল পেতে, চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম?

আস্থা ভোট না হওয়ায় কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতটা বিধানসভার মেঝেতেই ঘুমিয়ে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। কেউ লুঙ্গি-গোল গলা গেঞ্জি, কেউ বা ট্রাউজার্স-টিশার্ট পরে টানটান ঘুম দিয়েছেন সবুজ কার্পেটের উপর।

আইনসভায় রাতভর থাকার ইতিহাস এ দেশে কম নেই। ৫৯-এর খাদ্য আন্দোলনের সময় গ্রেফতার এড়াতে জ্যোতি বসুও বেশ কয়েক রাত বিধানসভায় কাটিয়েছিলেন। কিন্তু তা বলে এমন গণঘুম কবে হয়েছে, অনেকেই মনে করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে বিজেপি দাবি করেছিল, এদিনই আস্থাভোট করতে হবে। সন্ধে নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় ভোটাভুটি করাবেন না অধ্যক্ষ। তখন বিজেপির একদল প্রতিনিধি খোদ রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

রাজ্যপাল নিজে স্পিকার কেআর রমেশ কুমারকে অনুরোধ করেছিলেন, এদিন সন্ধ্যার মধ্যেই যেন আস্থাভোট নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হয়নি। তার বদলে রাজ্যপাল শুক্রবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছেন। রাজ্যপাল সময়সীমা দিয়ে বলেছেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে।

গত দু’সপ্তাহে শাসক জোটের মোট ১৬ জন বিধায়ক স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্পিকার এখনও সেগুলি গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করলে সরকার নিশ্চিত ভাবেই গরিষ্ঠতা হারাত। স্পিকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিদ্রোহীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে, কবে ইস্তফা গ্রহণ করবেন, সে সিদ্ধান্ত স্পিকারই নেবেন। আদালত তাঁর এক্তিয়ারে নাক গলাবে না। তবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও বিধায়ককে বিধানসভায় হাজির হতে বলা যাবে না।

এ দিন সকালেই দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর কংগ্রেস নেতারা স্থির করেন, বৃহস্পতিবার কিছুতেই আস্থাভোট হতে দেওয়া যাবে না। সেজন্য তাঁরা আস্থাভোট বিতর্কে সরকার পক্ষের মোট ২৬ জন বক্তার নাম প্রস্তাব করেন। কংগ্রেস এখনও ভিতরে ভিতরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তাঁদের কয়েক জনকে ফের সরকারের দিকে টেনে আনার আশা ছাড়েনি কংগ্রেস-জেডি এস।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি-ও ঘুম কৌশল নিয়ে সারা রাত এক জায়গায় রেখে দিল নিজের বিধায়কদের। যাতে হিসেবে গোলমাল না হয়। এখন দেখার, বিধায়কদের ঘুম থেকে ওঠার পরে কী চিত্র দাঁড়ায়!

Previous articleবিজেপিতে চাঁদের হাট, দিল্লিতে বাংলার এক ঝাঁক তারকা
Next articleদমদমে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ঝরল রক্ত, পুড়ল বাইক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here