দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে সরকারকে বেশ চাপেই রেখেছেন বিরোধীরা। শুক্রবার সংসদে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষা প্রমুখ তথা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত সাংসদদের বলেন, উদ্বেগের কারণ নেই। লাদাখ সীমান্তে যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
লাদাখে চিন যেমন অতিশয় অ্যাডভেঞ্চারিজমে নেমে পড়েছে, তেমন এও বাস্তব যে ভারতীয় বাহিনীও তুল্যমূল্য জবাব দিয়েছে। চোখে চোখ রেখে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। সাউথ ব্লকও পূর্ব লাদাখে প্রস্তুতি বাড়িয়েছে। গেরিলা বাহিনী, বিশেষ প্রশিক্ষিত কম্যান্ডো পাঠানো থেকে শুরু করে সেখানে অস্ত্র ও রসদের সরবরাহও বাড়িয়েছে। তা ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে বায়ুসেনাও। নয়াদিল্লির সেই প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির কথা এদিনের বৈঠকে ব্যাখ্যা করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।
The only “talk” to have with China is about restoration of ‘Status Quo Ante’ as of March 2020.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 11, 2020
PM & GOI refuse to take responsibility for pushing China out of our land.
All other “talk” is worthless.
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য হলেন রাহুল গান্ধী। যিনি চিনা সংঘাতের প্রশ্নে নিয়মিত সরকারের সমালোচনা করছেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুলও। বৈঠকের মধ্যে অবশ্য খুব একটা আগ্রাসী ছিলেন না তিনি। শুধু এ প্রশ্ন করেন যে সীমান্তে সেনা জওয়ান ও অফিসারদের কেন পৃথক খাবার পরিবেশন করা হয়। এই বৈষম্য কেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এক জওয়ান।
The Chinese have taken our land.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 11, 2020
When exactly is GOI planning to get it back?
Or is that also going to be left to an 'Act of God'?
তবে বৈঠকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক না হলেও এদিন বিকেলে ফের টুইট করে মোদী সরকারের সমালোচনা করেন রাহুল। রাশিয়ায় ভারত-চিন বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে গতকাল। সে প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেছেন, এ বছর মার্চ মাসের আগের পরিস্থিতি ফেরানোর ব্যাপার সম্মত হয়েছে কি বেজিং? নাকি মোদী সরকার দখল হয়ে যাওয়া ভারতীয় ভূখণ্ডের দাবি ছেড়ে দিয়েছে। তা যদি হয়, তা হলে এ ধরনের বৈঠকের কোনও অর্থ নেই। মার্চ মাসের আগের পরিস্থিতি ফেরাতে হবে লাদাখ সীমান্তে।