দেশের সময় , ওয়েবডেস্কঃ কোভিড–১৯–এর ভয়ে যখন সারা দেশ থরহরি কম্পমান। দেশ জোড়া ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আচমকা থমকে যাওয়ায় স্বভাবতই আতান্তরে দেশবাসী। তখন কিন্তু প্রকৃতি তার নিজের রচনা করেই যাচ্ছে। লকডাউনের জন্য দেশের সর্বত্র গণ পরিবহন থেকে শুরু করে সব কটি কলকারখানা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং যান চলাচল প্রায় শূন্যে নেমে যাওয়ায় বায়ুদূষণ কমতে শুরু করেছে।
স্বাভাবিক নিয়মেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে দেশের ৯০টা শহরে। তার মধ্যে যেমন আছে প্রতিবার দূষণের শিরোনামে থাকা দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চল, তেমনই আছে ঘিঞ্জি শহর লখনউ বা বারাণসী। রয়েছে হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলিও।
সরকার পরিচালিত সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ বা এসএএফএআর–এর গবেষণা অনুযায়ী, লকডাউনের পর দিল্লিতে দূষণকণা বা পিএম২.৫ কমেছে ৩০ শতাংশ, পুনে এবং আমেদাবাদে কমেছে ১৫ শতাংশ।
শ্বাসযন্ত্রের এক অত্যন্ত ক্ষতিকারক উপাদান নাইট্রোজেন অক্সাইড বা এনওএক্স পুনেতে কমেছে ৪৩ শতাংশ, মুম্বইয়ে কমেছে ৩৮ শতাংশ এবং আমেদাবাদে কমেছে ৫০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী লকডাউনের পর দিল্লির আবহাওয়া এখন ভালো পর্যায়ে আছে। দেশের ৩৯টা শহরের বায়ু এখন ভালো এবং ৫১টা শহরের বায়ু সন্তোষজনক স্তরে আছে।
আবহাওয়ার এই পরিবর্তন স্বভাবতই মুখে হাসি জুগিয়েছে পরিবেশবিদদের। এবং তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারকে এই প্রেক্ষিতে আবেদন করেছেন যে উন্নয়নের নামে যথেচ্ছ গাছ কাটা, এবং পরিবেশ দূষণ যেন এবার বন্ধ করে সরকার। একই আবেদন করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও।