দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকরোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ৩ মে’র পরে পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ক্ষেত্রে ৪ মে’র আরও দু’সপ্তাহ পরে কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ লকডাউন প্রত্যাহার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে এমনই তাঁর মত বলে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরবর্তী রণকৌশল স্থির করতে আগামী সোমবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে। তার মাত্র চার দিন আগে বৃহস্পতিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক এবং তৃণমূল নেত্রী হিসেবে আমি চাই লকডাউন জারি থাকুক।’ এক্ষেত্রে তাঁর আরও সংযোজন, ‘৪ মে থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে ২৫ শতাংশ লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক। আগামী ৪ মে-র পরে দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০ শতাংশ পুনরায় খুলে দেওয়া হোক। আর ৪ মে-র দু সপ্তাহ পরে সম্পূর্ণ লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক।’
লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও এখন কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বলবৎ থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। উড়ান এবং রেল পরিষেবা, বিশেষত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। একইভাবে করোনাভাইরাসের হটস্পটগুলিতেও নজরদারি চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে তাঁর অভিমত।
বক্তব্য অবশ্যই জানাব।’লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও এখন কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বলবৎ থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। উড়ান এবং রেল পরিষেবা, বিশেষত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। একইভাবে করোনাভাইরাসের হটস্পটগুলিতেও নজরদারি চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে তাঁর অভিমত।
রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩৪। মোট করোনা-মুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১০৩। বাংলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাজ্যে আছে বলে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।