দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রেশনের ডিলারশিপ যাতে নিম্নবিত্তরাও নিতে পারেন তার জন্য পুঁজি জমার অঙ্ক কমিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, “আগে রেশনের ডিলারশিপ পেতে গেলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হতো। আমরা সেটাকে কমিয়ে এক লক্ষ টাকা করেছি। আমি বলব, এটাকে ৫০ হাজার টাকা করে দিন। তাহলে অনেক ছেলেমেয়ে ডিলারশিপ নিতে পারবে।”
মেয়েদেরও যাতে ডিলারশিপ দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও সরকারি আধিকারিকদের বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাস্তব কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে মঞ্চ থেকে তার সমাধানও করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জন প্রতি মাসে পাঁচ কিলো খাদ্যশস্য বরাদ্দ। একটা পরিবারে যদি পাঁচ জন থাকেন তাহলে সেই বাড়িতে পঁচিশ কিলো খাদ্যশস্য পৌঁছতে হবে। ঘাড়ে করে তা বাড়ি বাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়। তাতে একটা পাড়ায় এক মাসের রেশন দিতে এক বছর লেগে যাবে।
মমতা নিজের পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, আমি যে পাড়ায় থাকি সেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দুকিলোমিটার লম্বা। এই এলাকায় একটা গাড়ি নিয়ে পৌঁছলে হবে না। তাহলে মানুষকে অনেক হাঁটতে হবে। সেক্ষেত্রে দুয়ারে রেশন থিওরিও কাজ করবে না। উপায় হিসেবে তিনি বলেন, ওখানে চারটে গাড়ি গেলে ৫০০মিটার দূরে দূরে দাঁড়াবে। মানুষ দু’পা হেঁটে রেশন তুলে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, যে পাড়ায় যেদিন রেশনের গাড়ি পৌঁছবে তার আগে সেখানে ভাল করে প্রচার করে দিতে হবে।
এ ব্যাপারেও মমতা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কেউ যদি নিজের পাড়ায় রেশন নিতে মিস করেন তাহলে অন্য পাড়া থেকেও তিনি তুলতে পারবেন। এটা তাঁর অধিকার।
রাজ্যের মধ্যে যেখান থেকে খুশি তোলা যাবে রেশন।
নরেন্দ্র মোদী সরকার এক দেশ এক রেশন কার্ড চালু করেছে আগেই। রাজ্য সরকার অবশ্য তা স্বীকৃতি দেয়নি বাংলায়। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মধ্যে যেখান থেকে খুশি রেশন তোলার প্রকল্প চালু করেছেন। অর্থাত্ মুর্শিদাবাদের কেউ যদি মৌলালি থেকে রেশন তুলতে চান, তিনি তা পারবেন। তবে তাঁর রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ হয়ে থাকতে হবে।