দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত চোপড়া। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চোপড়া থানার কুমারটোল গ্রাম। দু’পক্ষের তাণ্ডবের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হল বিজেপি কর্মীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন-চার দিন ধরেই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা লেগে আছে। গ্রামের সরকারি অধিকৃত জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস করা নিয়ে বিজেপি সমর্থক সত্যেন সিং ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবীন সিং-এর মধ্যে এই ঝামেলার সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার দু’পক্ষকে থানায় ডেকে কড়া ভাবে সতর্ক করে পুলিশ। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে রাজি হয় দুই পক্ষই।
শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় ঝামেলা। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দলীয় কার্যালয়ের পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। চলে গুলি। শুরু হয় বোমাবাজি। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে পায়ে গুলি লাগে সত্যেনবাবুর মেয়ে প্রিয়ঙ্কার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে ইসলামপুর হাসপাতালে। প্রিয়ঙ্কার পায়ের গুলি বার করা হয়েছে। তার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় ঝামেলা। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দলীয় কার্যালয়ের পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। চলে গুলি। শুরু হয় বোমাবাজি। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে পায়ে গুলি লাগে সত্যেনবাবুর মেয়ে প্রিয়ঙ্কার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে ইসলামপুর হাসপাতালে। প্রিয়ঙ্কার পায়ের গুলি বার করা হয়েছে। তার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে প্রিয়ঙ্কা। ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি তার। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘আমি দেখি কিছু লোক গোলমাল করছে। আচমকাই একটা আওয়াজ। মনে হল পায়ে কিছু লেগেছে। ব্যথায় শুয়ে পড়ি। গোলাগুলি নিয়ে কিছু জানিনা।’’ ঘটনা প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কার বাবা সত্যেনবাবুর দাবি, তৃণমূলের সমর্থকরাই গুলি ছুড়ছিল। এলাকায় তারাই অশান্তি তৈরি করে।
অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবীন সিং-এর দাবি, ‘‘আমরা এখানে একটা জমি দলীয় কার্যালয় বানানোর জন্য নিয়েছি। সেই নিয়ে বিজেপির গুণ্ডারা গোলমাল পাকাচ্ছে। গতকাল রাতে এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই সুযোগে গভীর রাতে আমাদের দলীয় পতাকা ছেড়া হয়েছে। আজ সেই বিষয়ে জানতে গেলে সত্য়েন সিং ও তার দলবল আমাদের দিকে গুলি চালাতে শুরু করে। আমরা কোনও গুলি চালাইনি।