দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইস্টবেঙ্গলের জয়ে ফেরার দিনে হারতে হল মোহনবাগানকে। কল্যাণীতে এরিয়ানের কাছে ১-২ গোলে হারল কিবু ভিকুনার দল। এই হারের ফলে জমে গেল লিগের লড়াই। মোহনবাগানের হারের ফলে তাদের টপকে তিন নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। খেলা শেষে উত্তেজনা ছড়ালো মাঠে। পড়ল বোতল।
আগের দিন ঘরের মাঠে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন বেইতিয়া, মার্টিনেজ পেরেজরা। কিন্তু এ দিন শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল। এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দী রক্ষণভাগ জমাট রেখেছিলেন। ফলে সুযোগ পাচ্ছিল না বাগান। তবে তার মধ্যেই সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন পেরেজ। ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাগান। কিন্তু ৬৩ মিনিটের মাথায় গোল করে এরিয়ানকে এগিয়ে দেন এজোগো। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কালীঘাটের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ায় সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ৮০ মিনিটে বাগানকে ফের ধাক্কা দেয় এরিয়ান। গোল করে ব্যবধান বাড়ান সন্দীপ।
খেলার শেষদিকে কিছুটা খেলায় ফেরে মোহনবাগান। ৮৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমান তরুণ শুভ ঘোষ। তবে সেটা কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হারতে হয় বাগানকে। শেষ দিকে মাঠে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতেও। ম্যাচ শেষ মাঠে বোতল পড়ে। খেলোয়াড়দের মধ্যেও বচসা শুরু হয়।
এ দিনের হারের ফলে সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের থেকে পিছিয়ে পড়ল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ফের জমে গেল লিগের লড়াই।
অন্যদিকে
এ দিন শুরু থেকেই দাপট ছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্ডেজ মাঝমাঠে স্যান্টোস কোলাডোর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন জুয়ান মেরাকে। ফলে অনেক সপ্রতিভ লাগল লাল-হলুদ আক্রমণভাগকে। ১৮ মিনিটের মাথায় ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন কোলাডো। খেলার গতির বিপরীতে ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৭ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসেবে নামা তুহিন শিকদার বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে এগিয়ে দেন কালীঘাটকে। চার মিনিট পরে জুয়ান মেরার কর্নার থেকে ফিরতি বলে গোল করে সমতা ফেরান বিদ্যাসাগর সিং।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলসংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৬০ মিনিটের মাথায় পিন্টু মাহাতার শট বের করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন কালীঘাটের ফুটবলার। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ মিনিট বাদে ফের জুয়ান মেরার থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু তিনি গোল করতে না পারলেও ফিরতি বলে গোল করেন কোলাডো।
৮২ মিনিটের মাথায় কালীঘাটের হয়ে ব্যবধান কমান রাকেশ পাসোয়ান। অবশ্য পরের মিনিটেই বোরহা গোমেজের লং বল ধরে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কোলাডো। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছাড়লেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
এই জয়ের ফলে মোহনবাগানকে টপকে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ লিডার্স পিয়ারলেস ও ভবানীপুরকে ছুঁয়ে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
ছবিতুলেছেন – শান্তনু বিশ্বাস।