দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃদাদাকে নিয়ে জল্পনা তো চলছেই। তার মধ্যে মহাগুরুকে নিয়ে জল্পনা কয়েক গুণ বেড়ে গেল।
মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাংলোয় গিয়ে সোমবার গভীর রাতে দেখা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত। যদিও মিঠুন সমস্ত রাজনৈতিক জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে। তাঁর কথায়, লখনউয়ে একবার ভাগবতের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল, সেই সময়ে মিঠুন নাকি ভাগবতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিলেন, মুম্বইয়ে গেলে যেন তাঁর বাড়িতে আসেন।
তা রক্ষা করতেই ভাগবত সোমবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেম জানান মিঠুন।
দেশের সময় – এ আগেই লেখা হয়েছে নাগপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিবিড় হয়েছে মিঠুনের। নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে গিয়েওছিলেন মিঠুন। সেখানে গিয়ে সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেগড়েওয়ারের স্মৃতি স্থানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক মনমোহন বৈদ্য বলেছিলেন, “আরএসএস কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। মিঠুন চক্রবর্তী আরএসএসের কর্মপদ্ধতি জানতে চেয়েছিলেন। সঙ্ঘের তাঁর কোনও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি।”
Maharashtra: RSS chief Mohan Bhagwat meets actor Mithun Chakraborty at the latter's residence in Mumbai. Visuals from outside his residence. pic.twitter.com/U3LIkLG8Tv
— ANI (@ANI) February 16, 2021
একসময়ে মিঠুন ছিলেন সিপিএম ঘনিষ্ঠ। তার চেয়ে বলা ভাল সুভাষ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ। সুভাষবাবু মারা যাওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব বেলগাছিয়া কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী করেছিল সুভাষ-জায়া রমলা চক্রবর্তীকে। সেই সময়ে মিঠুন তাঁর হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন।কিন্তু তৃণমূল জমানায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন মিঠুন। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন মিঠুন। পরে চিটফান্ড বিতর্কে তাঁর নাম জড়ানোয় তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ থেকে ইস্তফা দেন।
আরএসএসপ্রধানের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে। নির্বাচনের মুখে মিঠুনের সমর্থন গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একুশের ভোটের মিঠুনের বাড়িতে সঙ্ঘ প্রধানে যাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। এ ব্যাপারে বিজেপির এক বাংলার নেতা বলেন, এমন নয় যে বিজেপি চাইছে যে এঁরা দলে যোগ দিন। তা করতে চাইলে তো কার্পেট পাতা রয়েছে। কিন্তু দলে যোগ না দিয়েও গেরুয়া শিবিরের জন্য তাঁরা যদি তাঁদের অনুগামী ও অনুরাগীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেন, তাও কম কী!