দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় সাইক্লোন আছড়ে পড়ল দেশে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় আছড়ে পড়ল সাইক্লোন নিসর্গ। বেলা ১টা নাগাদ ঢুকল আলিবাগে। উপড়ে ফেলল কয়েক হাজার গাছ। উড়ে গেল পর পর বাড়ির টিনের চাল। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৩ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে নেবে সে। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত মুম্বই বিমানবন্দরে বন্ধ থাকছে বিমান।
স্থলভাগে নিসর্গ এগিয়েছে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে। তবে হাওয়ার গতিবেগ থেকেছে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
কখনও ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়েছে। মুম্বই, ঠানে, রায়গড়, পালঘরে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গোয়াতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, সাইক্লোনের কেন্দ্র মহারাষ্ট্র উপকূলের খুব কাছেই।
মহারাষ্ট্র অবশ্য আগেভাগেই প্রস্তুত থেকেছে সাইক্লোন মোকাবিলা করার জন্য। মুম্বইয়ের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে বিএমসি। ৩০ হাজার মানুষ নিজেরাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪৩টি দল কাজে নেমে পড়েছে। এক–একটি দলে রয়েছেন ৪৫ জন সদস্য। প্রশাসন এবং সরকার বারবার নাগরিকদের ঘরে থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
ঝড়ের দাপটে মুম্বইয়ের স্যান্টাক্রুজ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। এই সময় কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাহত মোবাইল পরিষেবা। মুম্বইয়ে প্রায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে অই ঘূর্ণিঝড় কিছুটা দুর্বল হবে বলে জানিয়েছেব আবহবিদরা।
মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলে নিয়োজিত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪৩টি দল। মহারাষ্ট্র ও গুজরাট ছাড়াও দাদরা-নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতেও প্রভাব পড়েছে নিসর্গের। ১০০ বছরেরও বেশি সময় পরে কোনও সাইক্লোন আছড়ে পড়ল মুম্বইয়ে।
মনে রাখতে হবে, দেশের মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে সবথেকে বেশি কোপ ফেলেছে করোনা ভাইরাস। শুধু মহারাষ্ট্রেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধার কাজ সহজ নয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নাগরিকদের সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে।