দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল কল্যাণী এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স)। লড়াইটা ছিল বেশ কঠিনই। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, অন্যদিকে রায়গঞ্জের কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি। দীপা চাইছিলেন রায়গঞ্জে গড়ে উঠুক রাজ্যের একমাত্র এইমস। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন এইমস গড়ে উঠুক কল্যাণীতেই। শেষমেষ ২০১৬ সালে সিদ্ধান্ত হয় কল্যাণীতে গড়ে উঠবে এইমস।
এইমস–এর জন্য জমি দেয় রাজ্য সরকার। কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে। এইমস গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার ফাঁকে রাজ্য সরকার শুরু করে এইমস–এর আশপাশ অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন। কল্যাণীর যে রাস্তা এইমসের কাছ থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মিশেছে, সেই সংযোগকারী রাস্তা ডবল লেনের করার কাজ শেষের পথে। সব মিলিয়ে এখন এইমস–এর নতুন চত্বরে এখন চরম ব্যস্ততা।
ইতিমধ্যে এইমস–এ এমবিবিএস প্রথম বর্ষের জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর ক্লাস শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে এইমস–এর দায়িত্ব প্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর এর কথায়, ‘প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছেন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে। আমাদের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ক্লাসরুম ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরির কাজ শেষ। আমরা চাইছি ইংরেজি নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এইমস–এর আউটডোর চালু করতে।
এমবিবিএস–এর প্রথম বর্ষের মতো এই শিক্ষাবর্ষেও ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবেন।’ এমনিতে কল্যাণীর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবরেটরি খুবই উন্নত। ছাত্র ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ২২ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ১৯ জন ইতিমধ্য ক্লাস নেওয়া শুরু করেছেন। এখন যে ৪টি বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে তা হল অ্যানাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফিজিওলজি ও কমিউনিটি অ্যান্ড হেলথ মেডিসিন।
এই এইমস নিয়ে সবস্তরের মানুষ বলছেন, মমতা যা বলেন, তা লড়াই করে আদায় করে দেখিয়ে দেন। কয়েক মাস পর রাজ্যের মানুষকে আর উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হবে না।