দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প রূপায়নে নির্দেশ বঙ্গ বিজেপির! কলকাতা পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা ঝাওয়ার তাঁর ওয়ার্ডে এই প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগামী ১৬ অগস্ট সরকারি ভাবে প্রকল্প শুরুর দিনেই নিজের ওয়ার্ডে এই প্রকল্প নিয়ে দরজায় দরজায় যাবেন সুনীতা। তাঁর কথায়, ”১৬, ৩১ ও ১১ সেপ্টেম্বর এই তিনদিন আমার ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের কাজ হবে। এ বিষয়ে দলের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিও পেয়েছি। বরোর থেকে প্রকল্প শুরুর সার্কুলার জারির পরেই এ বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। “
এখন প্রশ্ন হল ,তাই বলে মমতার প্রকল্প নিয়ে একেবারে শুরুতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়বে বিজেপি? এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায় , ”আমরা গরীব মানুষের উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মতো রাজনীতি করি না। সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদেরই রাজ্য সরকারের প্রকল্প রূপায়নে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ সরকারি প্রকল্প থেকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হন।” মোদীর আয়ূষ থেকে শুরু করে কিষান নিধি – একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ন নিয়ে কেন্দ্র – রাজ্যের দড়ি টানাটানি আর তরজা মানুষের জানা। সেই নিরিখে বিজেপির এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
যদিও, রাজনৈতিক মহলের মতে,এর মধ্যে বিজেপির উদারতা খোঁজা নিরর্থক। আসলে, সামনেই পুরভোট, তার আগে মমতার চালে রীতিমত বেকায়দায় বিজেপি। কলকাতা সহ রাজ্যে পুরভোটের আগে, দলের নির্দেশে মমতার নানা প্রকল্প নিয়ে যখন ঢাকঢোল পিটিয়ে মাঠে নামতে চলেছে তৃণমূল, তখন রাজনৈতিক কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে পুরভোটে বিজেপির পক্ষে জমি ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সে কারনেই এই নির্দেশ।
সুনীতা ৫ নম্বর বরোর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা। এই মূহুর্তে কলকাতা পুরসভায় বিজেপির মোট ৫ জন কাউন্সিলর। এরা যথাক্রমে ২২,২৩, ৮৬,৮৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিনিধি। ২২ ও ২৩ ওয়ার্ড ৪নং বরোর অন্তর্ভূক্ত। ৮৬ ও ৮৭ ওয়ার্ড দুটি ৮ নম্বর বরো এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডটি ৫ নম্বর বরোর মধ্যে পড়ে। সুনীতার এই উদ্যোগ নিয়ে বিজেপির বাকি কাউন্সিলররা এখনও অবহিত নন।
বিজেপির কাউন্সিলর ও প্রক্তন ডেপুটি মেয়র মীনা দেবী পুরোহিত এবং বিজয় ওঝা জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তাদের বরো ( বরো – ৪) থেকে কোন সার্কুলারও তারা পান নি। পেলে, এ বিষয়ে দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে,মুখে এ কথা বললেও, সুনীতার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বাস্তবসম্মত বলেই মনে করছেন বিজেপির অনেকেই।