(বিশেষ প্রতিবেদন)
দেশের সময়ঃ-শেষ হয়েও হইল না শেষ,বিষয়টা যেন অনেকটা সেরকমই।কিছু দিন আগেও মনে হচ্ছিল যেন সিবিআই এবার এ রাজ্য থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে।বিশেষ করে যখন বিজেপির অন্দরে এবার দিল্লির শাসন ধরে রাখা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা,তখন তারা মনে করতে শুরু করে এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন সখ্য রেখে তাদের পরক্ষে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করাটাই কৌশল হবে।সেই মত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতাদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে অলআউট ঝাপাতে নিষেষও করতে শুরু করে দিয়েছিলেন।কিন্তু ১৯ জানুয়ারি মমতার ব্রিগেড সভার বার্তা বিজেপির কাছে অন্য সংকেত পৌঁছে দেয়।শেনা যাচ্ছে এই সভার পরেই মমতার সম্পর্কে বিজেপির অমিত শাহ থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী বুঝে যান মমতা বিজেপি বিরোধিতকে এমন মাত্রায় নিয়ে গেছেন যেখান থেকে মমতার পক্ষে আর ব্যাকআউট করা সম্ভব নয়।মমতাকে এবার সরাসরি বিজেপি বিরোধী শক্তির সঙ্গেই হাত মিলিয়ে চলতে হবে।এতদিন মমতার সঙ্গে বিজেপির যে গোপন সখ্যের প্রত্যাশায় বিজেপির দিল্লির নেতারা মমতার দলের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ধিরে চলার নীতি নিয়ে এগুচ্ছিলেন এবার তারা মমতাকে বাগে আনতে আবার সিবিআইকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভেবে ফেলেছেন।সূত্র বলছে সেই কারণেই আবার এ রাজ্যে সিবিআই সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে।ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের এক নামী সাংবাদিক ও সিনেমার প্রজোযক সিবিআই এর হেপাজতে।ঐ সাংবাদিক ও সিনেমার প্রজোযক তৃণমূলেরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।সিনেমার প্রজোযক শ্রীকান্ত মেহতাকে গ্রেপ্তার করে সরাসরি তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি।অনেকেই মনে করছেন শ্রীকান্ত যে ভাবে শাসক দলের পক্ষে সমগ্র বলিউডকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে স্পষ্টতই তৃণমূলের সেলিব্রিটিদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল।যেন পরোক্ষে বলে দেওয়া হল এবার থেকে তৃণমূলের মঞ্চে ওঠার আগে ভেবে দেখো বিপদ কিন্তু তোমার জন্যও অপেক্ষা করে আছে।সমস্ত সিনেমার ও সিরিয়ালের তারকারা যদি ভয় পেয়ে যায় তবে তৃণমূলের প্রচারের ঝৌলুস অনেকটা কমে যাবে,মানুষের আগ্রহও কমবে।তাছাড়া তৃণমূলের ভাবমূর্তিরও বিশেষ ক্ষতি করার চেষ্টা হবে ভোটের আগে।মমতার দলের পক্ষ থেকে তাই সিবিআইকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা শুরু হয়ে গেছে।শোনা যাচ্ছে তলিকায় আর কিছু নাম আছে তাদের কিছুদিনের মধ্যেই হপাজতে নেওয়ার প্রয়াস শুরু হবে।যে ভাবে ঠিক লোকসভা ভোটের আগে,১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভার পর পরই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই তাতে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে এর পেছনে একটা রাজনৈতিক অংক আছে,যে অংক দিয়ে মমতাকে বাগে আনার চেষ্টা করবে বিজেপি।এখন প্রশ্ন হল মমতাও কী কোন রাজনৈতিক অংক কষছেন না?অবশ্যই কষছেন,সেই অংকের জোরেই মমতা এখন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ করে চলেছেন,বিরোধীদের এক মঞ্চে এনে মমতা প্রথম চালটা দিয়ে দিয়েছেন,এবার তাঁর প্রয়াস হবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলকে বিজেপি বিরোধী অবস্থানে আর বেশী করে টেনে নিয়ে যাওয়া।বিজেপিও মমতাকে বাগে আনতে তার বিরুদ্ধে থাকা সব কটি ঘুঁটি এবার সামনে আনবে বলে স্থির করে ফেলেছে।সিবিআই ও ইডি এ রাজ্যে সামনের কয়েক মাসের মধ্যে নানা খেলা খেলবে বলে খবর।আসলে তাদের দিয়ে খেলানো হবে।এখন দেখার সেই খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জেতে,কারণ সব খেলার পেছনেই যে হেতু ক্ষমতার হিসেব থাকে তাই সব খেলার লাভ-ক্ষতির হিসেব বোঝা যাবে আগামী লোকসভার ভোটের পর।আপাতাত নিশ্চিত করে শুধু এটা বলা যায় মমতাকে বাগে আনতে সিবিআই অস্ত্রে আবার শান দিতে শুরু করল বিজেপি।
দেশের সময়ঃ-শেষ হয়েও হইল না শেষ,বিষয়টা যেন অনেকটা সেরকমই।কিছু দিন আগেও মনে হচ্ছিল যেন সিবিআই এবার এ রাজ্য থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে।বিশেষ করে যখন বিজেপির অন্দরে এবার দিল্লির শাসন ধরে রাখা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা,তখন তারা মনে করতে শুরু করে এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন সখ্য রেখে তাদের পরক্ষে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করাটাই কৌশল হবে।সেই মত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতাদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে অলআউট ঝাপাতে নিষেষও করতে শুরু করে দিয়েছিলেন।কিন্তু ১৯ জানুয়ারি মমতার ব্রিগেড সভার বার্তা বিজেপির কাছে অন্য সংকেত পৌঁছে দেয়।শেনা যাচ্ছে এই সভার পরেই মমতার সম্পর্কে বিজেপির অমিত শাহ থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী বুঝে যান মমতা বিজেপি বিরোধিতকে এমন মাত্রায় নিয়ে গেছেন যেখান থেকে মমতার পক্ষে আর ব্যাকআউট করা সম্ভব নয়।মমতাকে এবার সরাসরি বিজেপি বিরোধী শক্তির সঙ্গেই হাত মিলিয়ে চলতে হবে।এতদিন মমতার সঙ্গে বিজেপির যে গোপন সখ্যের প্রত্যাশায় বিজেপির দিল্লির নেতারা মমতার দলের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ধিরে চলার নীতি নিয়ে এগুচ্ছিলেন এবার তারা মমতাকে বাগে আনতে আবার সিবিআইকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভেবে ফেলেছেন।সূত্র বলছে সেই কারণেই আবার এ রাজ্যে সিবিআই সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে।ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের এক নামী সাংবাদিক ও সিনেমার প্রজোযক সিবিআই এর হেপাজতে।ঐ সাংবাদিক ও সিনেমার প্রজোযক তৃণমূলেরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।সিনেমার প্রজোযক শ্রীকান্ত মেহতাকে গ্রেপ্তার করে সরাসরি তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি।অনেকেই মনে করছেন শ্রীকান্ত যে ভাবে শাসক দলের পক্ষে সমগ্র বলিউডকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে স্পষ্টতই তৃণমূলের সেলিব্রিটিদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল।যেন পরোক্ষে বলে দেওয়া হল এবার থেকে তৃণমূলের মঞ্চে ওঠার আগে ভেবে দেখো বিপদ কিন্তু তোমার জন্যও অপেক্ষা করে আছে।সমস্ত সিনেমার ও সিরিয়ালের তারকারা যদি ভয় পেয়ে যায় তবে তৃণমূলের প্রচারের ঝৌলুস অনেকটা কমে যাবে,মানুষের আগ্রহও কমবে।তাছাড়া তৃণমূলের ভাবমূর্তিরও বিশেষ ক্ষতি করার চেষ্টা হবে ভোটের আগে।মমতার দলের পক্ষ থেকে তাই সিবিআইকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা শুরু হয়ে গেছে।শোনা যাচ্ছে তলিকায় আর কিছু নাম আছে তাদের কিছুদিনের মধ্যেই হপাজতে নেওয়ার প্রয়াস শুরু হবে।যে ভাবে ঠিক লোকসভা ভোটের আগে,১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভার পর পরই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই তাতে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে এর পেছনে একটা রাজনৈতিক অংক আছে,যে অংক দিয়ে মমতাকে বাগে আনার চেষ্টা করবে বিজেপি।এখন প্রশ্ন হল মমতাও কী কোন রাজনৈতিক অংক কষছেন না?অবশ্যই কষছেন,সেই অংকের জোরেই মমতা এখন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ করে চলেছেন,বিরোধীদের এক মঞ্চে এনে মমতা প্রথম চালটা দিয়ে দিয়েছেন,এবার তাঁর প্রয়াস হবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলকে বিজেপি বিরোধী অবস্থানে আর বেশী করে টেনে নিয়ে যাওয়া।বিজেপিও মমতাকে বাগে আনতে তার বিরুদ্ধে থাকা সব কটি ঘুঁটি এবার সামনে আনবে বলে স্থির করে ফেলেছে।সিবিআই ও ইডি এ রাজ্যে সামনের কয়েক মাসের মধ্যে নানা খেলা খেলবে বলে খবর।আসলে তাদের দিয়ে খেলানো হবে।এখন দেখার সেই খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জেতে,কারণ সব খেলার পেছনেই যে হেতু ক্ষমতার হিসেব থাকে তাই সব খেলার লাভ-ক্ষতির হিসেব বোঝা যাবে আগামী লোকসভার ভোটের পর।আপাতাত নিশ্চিত করে শুধু এটা বলা যায় মমতাকে বাগে আনতে সিবিআই অস্ত্রে আবার শান দিতে শুরু করল বিজেপি।