সোমবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। তার আগে রবিবার মেঘ সরে রোদ উঠতেই ঝলমল করে উঠল শহর এবং শহরতলির পুজোমণ্ডপগুলি। এই পুজোয় ৭০–‌এর ওপর প্রতিমা উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগ উপেক্ষা করে তাঁকে দেখার জন্য মণ্ডপে ভিড় জমেছিল ব্যাপক। তিনি অভয় দিয়ে বলেছিলেন, পঞ্চমী থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কথা মিলে গেছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অনেকটাই নিশ্চিন্ত। পঞ্চমীর দিন বাড়ি থেকেই খোঁজ রেখেছিলেন মমতা। প্রশাসন ও পুলিসের সঙ্গে নিরন্তর কথা বলেছেন আবহাওয়া এবং উৎসবের খুঁটিনাটি সব বিষয়ে৷ পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাত জেগে পরিস্থিতি নজরে রেখেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুমেও খোঁজ নিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিলেন। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁদের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে।

সুরুচি থেকে শ্রীভূমি, চেতলা থেকে বাগবাজার— পঞ্চমী থেকেই জনজোয়ার নেমেছে কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র পথে পথে। শুরু হয়ে গেছে উৎসবের ‘কাউন্টডাউন’।

শনিবার রাতেও আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি। তবু মণ্ডপমুখী হয়েছিলেন বহু মানুষ। রবিবার, পঞ্চমীর সকালে রোদ উঠতেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন দর্শণার্থীরা। বেলা গড়াতেই শহরের রাস্তায় গাড়ি আর মানূুষ৷ লক্ষ্য একটাই— আগেভাগে যত বেশি প্রতিমা দর্শন সেরে নেওয়া যায়। শুধু কলকাতাবাসীই নন, উৎসবের স্বাদ উপভোগ করতে বাসে–ট্রেনে চলে এসেছেন আশপাশের জেলার মানুষও। প্রতিমা, মণ্ডপের অন্দরের সজ্জা, বিকেলের পর থেকে আলোর রোশনাই— দর্শক টানা শুরু হয়ে গিয়েছে সপরিবার মা দুর্গার।
রবিবার থেকেই দক্ষিণের হরিদেবপুর, সুরুচি সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা, একডালিয়া, সিংহী পার্ক থেকে শুরু করে উত্তরে বাগবাজার, আহিরিটোলা, কুমোরটুলি বা পূর্ব কলকাতার শ্রীভূমিতে শুধু মানুষ আর মানুষ। বেলা যত গড়াচ্ছে, তত বাড়ছে ভিড়। তারই পাশাপাশি চলেছে শেষমুহূর্তের ‘পুজো শপিং’–ও। অনেকে মণ্ডপে ঢুকেই প্রতিমাকে পটভূমিতে রেখে সেল্‌ফি তুলেছেন। তারপর মণ্ডপ থেকে বেরোনর আগেই ‘পোস্ট’ করে দিয়েছেন ছবি। সেল্‌ফিপ্রেমীদের কারণে অনেকে আবার বিরক্তও। গতবছর পুলিস সেল্‌ফি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এবার এখনও পর্যন্ত খোলা ময়দান। ফলে পুজোর ছবিতে উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াও। সীমান্ত শহর বনগাঁও-কলকাতাকে টেক্কাদিতে মরিয়া৷পঞ্চমীতে শিমুলতলা আয়রনগেট স্পোর্টিং ক্লাব এবং মতিগঞ্জ১৫পল্লী যুবগোষ্ঠী র মন্ডপ উন্মোচন করেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য,উপস্থিত ছিলেন উঃ২৪ পরগনার বারাসত জেলা পুলিশ সুপার সুধাকর রাও,বিশ্বজীৎ দাস (বিধায়ক বনগাঁউত্তর) প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ এবং এস,ডিপিও অনিল কুমার রায়৷ পঞ্চমী সন্ধ্যা থেকে বনগাঁ শহরে দর্শনার্থীদের ঢল দেখে অবিভুত অনিল বাবু,তিনি বলেন, প্রশাসন দর্শণার্থীদের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করেছে বনগাঁ পুরসভার সহযোগীতায় আরও বেশি সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে সাধারনমানুষ এবার পুজো উপোভোগ করছেন। গোপন ক্যামেরায় কড়া নজড়দারি চলছে সীমান্ত থেকে শহরের সর্বত্র৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here