দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটা। ‘রক্তস্নাত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তির মঞ্চ থেকে আগ্রাসী বক্তৃতার শেষে শুভেন্দু বলেছিলেন, ৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো?
কিন্তু ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা। ৬ তারিখ ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ টা পার হতেই নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদীতে শেখ সেলিম, ভরত মণ্ডলদের স্মরণ করলেন শুভেন্দু।
এদিন শহিদ মিনার স্থলে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “কেউ কেউ চোখ রাঙিয়ে বলেছিল আমায় শহিদ বেদীর প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেবে না। কিন্তু রক্তচক্ষু দেখিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। আমি ছিলাম, আছি, থাকব।” তাঁর কথায়, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমি নন্দীগ্রামে কয়েকটি দিবস পালন করি। ২০০৭ সালের ৮ জানুয়ারি নিজে হাতে শেখ সেলিমের দেহ তুলেছিলাম। সে যন্ত্রণার কথা আজও মনে পড়ে। তাই নন্দীগ্রামের শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানোর এই ধারাবাহিকতা চলবে। দল, মত, বর্ণ, ধর্মের উর্ধ্বে এই কর্মসূচি।
নন্দীগ্রামে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের হয়ে সভা করার কথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। কারও নাম না করে শুভেন্দু বলেন, আগে অনেকেই আসত না এই সব দিনে। এ বার আসছে। কারণ ভোট আসছে। কী উদ্দেশে আসছে, কেন আসছে বুঝতেই পারছেন।
২০০৭-এর ৭ জানুয়ারি সকালে ভাঙাবেড়া সেতুর কাছে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে এই দিনটিকে প্রথম শহিদ দিবস বলে ধরা হয়। ৭ তারিখ নেতাই গণহত্যারও বর্ষপূর্তি। বৃহস্পতিবার দু জায়গাতেই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। তবে আগের রাতে গিয়েই স্মরণ অনুষ্ঠান সারলেন শুভেন্দু। আবার সেখানে দাঁড়িয়েই জানিয়েছেন, কাল নেতাই যাব। সকাল সকাল বেরোতে হবে।