দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবারের পড়ন্ত বিকেল। বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের গাড়ির পেছনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরের গাড়ি ছুটে চলেছে। বনগাঁর চাঁদা বাজার থেকে পাইকপাড়া হয়ে বোয়ালদহ গ্রামে এসে থামলো সেই গাড়ি।
সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এলেন এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। গাড়ি থেকে নেমেই কীর্তন এর আওয়াজ শুনতে পেলেন প্রার্থী। আর সেই শব্দকে অনুসরণ করে হাজির হয়ে গেলেন গ্রামের একটি বাড়িতে। সেখানে তখন রীতিমতো খোল, করতাল, হারমোনিয়াম বাজিয়ে কীর্তন চলছে। হাজীর গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মহিলা পুরুষেরা।
প্রার্থী মমতা ঠাকুর ওই বাড়িতে ঢুকেই ঠাকুরের মূর্তিতে প্রণাম করলেন। আচমকা তাকে দেখে খুশি বাড়ির লোকেরা। তাকে বসিয়ে প্রদীপ দিয়ে বরণ করে নিলেন বাড়ির কর্ত্রী। পরিয়ে দেওয়া হলো গাঁদা ফুলের মালা। এরপর এক কীর্তন শিল্পীর কাছ থেকে হারমোনিয়াম চেয়ে নিজেই বাজাতে শুরু করলেন।
প্রার্থীর এই ভূমিকা দেখে অবাক গ্রামের মানুষ। আসলে মমতা ঠাকুর শুধু প্রার্থী নন, তিনি সারা ভারত মতুয়া মহা সঙ্ঘের একদিকে যেমন প্রধান উপদেষ্টা অন্যদিকে সঙ্ঘাধিপতিও বটে। তাই মতুয়া ভক্তদের কাছে তিনি অন্যমাত্রা পেয়েছেন। আর নিজে ঠাকুরবাড়ির বধূ হওয়ায় কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গেলে নিজেকে তার সঙ্গে একাত্ম করতে সময় লাগে না।
এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়ে তার সেই ভূমিকায় আরো একবার তা প্রমান করলো। নামে ভোট প্রচার হলেও এদিন কীর্তনের আসরে গিয়ে একটিবারের জন্যেও ভোট প্রার্থনা করেন নি তিনি। উপস্থিত বিভিন্ন বয়সের মানুষদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন। এর পরে বেরিয়ে এলেন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে। রাস্তায় উঠতেই পথ চলতি এক মোটরবাইক আরোহী এবং সহযাত্রীদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন।
বাইকের সামনে বসে রয়েছে তখন বছর ৫ বয়সের একটি ফুটফুটে মেয়ে। তাকে দেখে আদর করলেন মমতা ঠাকুর। এরপর সঙ্গী বিধায়ক এবং অন্যান্যদের সঙ্গে গ্রামের পথ ধরে ভোট প্রচারে নামলেন মমতা ঠাকুর। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত। একের পর এক এলাকা ঘুরে এভাবেই রবিবারের ভোট প্রচার সারলেন তিনি।