দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অনেক দিন আগেই ভার্চুয়াল জনসভা করে বিহারের ভোটের ঢাকে কাঠি বাজিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। বিহারের ভোটের জন্য বিজেপির প্রস্তুতি খাতায়-কলমে শুরু হয়ে গিয়েছিল তখনই। শুক্রবার ভোট প্রস্তুতি শুরু করছে কংগ্রেস। রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরের নেতাদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেবেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়ানাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী।
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে ভোট নিয়ে আলোচনাও করবেন রাহুল। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা সাংসদ শক্তি সিং গোহিল জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল সভা শেষের পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেখানে থাকার কথা বিহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, ও চার কার্যকরী সভাপতির।
বিহারের বন্যা পরিস্থিতি, করোনা সংক্রমণ এবং ভোট প্রস্তুতি—সব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন রাহুল। করোনা পর্বে এর আগেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল। কথা হয়েছিল বিহারের জোট শরিকদের সঙ্গেও। কিন্তু এই প্রথম ভোট কেন্দ্রিক কর্মসূচি শুরু করছে কংগ্রেস।
যদিও বিহারের কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এখনই জোট শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কথা বলা হবে না। আরও কিছু দিন যাওয়ার পর ভোটের ময়দান গরম হলে সেই কাজ করবে হাইকম্যান্ড।
করোনা পর্বে বিহারেই প্রথম ভোট হওয়ার কথা। নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হলে আগামী-অক্টোবর নভেম্বরেই ভোট হওয়ার কথা সেখানে। তার জন্য একাধিক গাইডলাইন ইতিমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লির নির্বাচন সদন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে বুথে গিয়ে ভোট দিতে হবে না। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
এ ছাড়া যাঁদের কিডনি বা হার্টের অসুখ রয়েছে তাঁরাও পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোভিড পর্বে কী ভাবে হবে ভোটের প্রচার তা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছে কমিশন। যদিও এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি বা সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথম সরকারে আসার এক বছরের মধ্যে ভোট হয়েছিল বিহারে। ১৫-র ভোটে বিজেপি তথা এনডিএ-এর বিরুদ্ধে মহাজোট গড়েছিল কংগ্রেস, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ। বিজেপিকে পরাস্ত করে সরকারও গড়ে মহাজোট। কিন্তু নীতীশ পরে এনডিএ-তে ফরে যাওয়ার ফ্লে সেই সরকার ভেঙে যায় এবং এনডিএ-এর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নতুন দৌড় শুরু করেন নীতীশ কুমার।