দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যে এসে প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার গ্র্যান্ড হোটেলে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সুদীপ জৈন।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছিল বৈঠক। দূরের জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন জৈন। তা ছাড়া কাস্টমস, এক্সাইজের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন তিনি। এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গেও বৈঠক করেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
জানা গিয়েছে, সুদীপ জৈন বৈঠকে বলেছেন কোভিড পরিস্থিতিতে ৮০ বছরের বেশি ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন তার জন্য বিকল্প বন্দোবস্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শারীরিক ভাবে অক্ষমরা আবেদন করলেও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
শুক্রবার চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট প্রকাশ হবে। যার ভিত্তিতে একুশের ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার ৭৮ হাজার ৯০৩টি বুথ রয়েছে। মোট ভোটার ৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩০৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ২ হাজার ৫৯০। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৮৮। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ হাজার ৪৩০ জন।
এর আগের বার রাজ্যে দুদিনের সফরে এসেছিলেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সে বার বিজেপি, বাম, কংগ্রেস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, ভোটার লিস্ট সংশোধন নিয়ে একাধিক দাবি জানিয়েছিল।
আগামী কাল রাজ্যে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তার আগে রাজ্যে দু’দিনের সফরে এসে পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কড়া বার্তা দিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি তাঁদের স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভোটের সময় গোলমাল বা রাজনৈতিক হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। হিংসা রুখতে তৈরি থাকতে হবে পুলিশকেই। দাগি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে৷
বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। নীলবাড়ির লক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ডান-বাম দলগুলি। মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেল গতকাল বৈঠক করেন কমিশন কর্তা সুদীপ জৈন। ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তারা। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা দফতরের সচিবেরা। আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্তদের কি অবস্থা? স্কুল বাড়িগুলি সারানো হয়েছে কি না? পরীক্ষার সময়সূচি-সহ নানা বিষয়ে জানতে চান সুদীপ।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন আয়কর, শুল্ক দফতরের অফিসারেরাও। ভোটের সময় কালো টাকার লেনদেন নিয়ে প্রতিবারই অভিযোগ ওঠে। এ বার আগে থেকে সে বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন কর্তা।
এবার ভোটে প্রতি বুথ কেন্দ্রে এক হাজারের বেশি ভোটারের প্রবেশে অনুমতি নাও মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে আরও ২৮ হাজার বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগেই। ভোটার তালিকা সংশোধন, নাম সংযোজন এবং বিয়োজনের কাজ হয়েছে গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয় সূত্রে খবর, রাজ্যে ৭৮ হাজার ৯০৩টি বুথ রয়েছে। মোট ভোটার ৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩০৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ২ হাজার ৫৯০। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৮৮। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ হাজার ৪৩০ জন। এই পরিসংখ্যানের কম বেশি হতে পারে চূড়ান্ত তালিকায় ৷